স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুরের খাজুরা জাহাজঘাটা তেমাথা ওয়াপদার ভেড়িবাঁধের ভাঙ্গন ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। অতিবর্ষণ আর জোয়ারে প্রবল পানির চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ভেড়িবাঁধ মারত্মক ধ্বসে যায়। বাঁধটি পুরোপুরী ভেঙ্গে গেলে ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের শত শত পরিবার পানিতে তলিয়ে চরম ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। অতিদ্রুত বাঁধের ধ্বসে যাওয়া স্থান মেরামতের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উৎকণ্ঠিত এলাকাবাসী জানান, ফকিরহাটের লখপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খাজুরা তেমাথা মোড় হতে আশ্রায়ন প্রকল্প ও খাজুরা ১০গেটের উপর দিয়ে লখপুর কাহারডাঙ্গা জামে মসজিদ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাঁধ রয়েছে। ফলে যুগীখালী নদীর উজান ও জোয়ারের পানি সহজেই লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারেনা। কিন্তু গত ৪ দিনের ভারী বর্ষণ ও পূর্নিমায় জোয়ারের পানির প্রবল চাপে ভেড়িবাঁধের একাংশ ভেঙ্গে যায়।
বাঁধসংলগ্ন এলাকাবাসী আজিত শেখ, গফ্ফার শেখ, রিয়াজুল ইসলাম, আশরাফ শেখ ও পল্লী চিকিৎসায়ক মিকাইল হোসেন বলেন, ভেড়িবাঁধের একটি অংশে ছোট্ট একটি কালভাট রয়েছে। যে কালভাটটির নিচের অংশ ভেঙ্গে সেখান থেকে প্রথমে ছিদ্র হয়ে পানি উঠানামা করতে করতে তা এখন মারত্মক আকার ধারন করেছে। তাছাড়া, প্রবাহমান যুগীখালী নদীর পূর্বপার্শ্বে যেনতেন ভাবে কয়েকটি বাঁশ কেটে তা দিয়ে পাইলিং দেওয়া হয়েছে। যে কারনে বাঁধটি শুরুতেই দুর্বল ছিল। এখন সম্পূণ্য বাঁধটি যে কোন সময়ে ভেঙ্গে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য শেখ আলী আহম্মদ বলেন, ভেড়িবাঁধে প্রথমে ফাটল ও পরে ৪এর ৩অংশ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অতিদ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে টেকসই ফাইলিং সহ মেরামত করা না হলে লোকালয় প্লািেবত হয়ে জনগনের চরম ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাশ বলেন, ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি শেখ আলী আহম্মদ আমাকে বৃহস্পতিবার অবগত করেছেন। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে অতিদ্রুত তা সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করছি।
