ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রংপুর ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৫৪ জন

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ৩০ জুলাই ২০২১

রংপুর ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৫৪ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা শনাক্ত ৯৫৪ জনের। এটি বিভাগে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে এক দিনে ৯২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২৯ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭৮ জন। গতকালের তুলনায় বিভাগে করোনায় মৃত্যু কমলেও শনাক্তে অতীতের রেকর্ড ভঙ্গেছে রংপুর বিভাগ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য দেন। তিনি জানান, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের তিনজন, ঠাকুরগাঁওয়ের দুইজনসহ পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরের একজন করে রয়েছেন। এ সময়ে বিভাগে ৩ হাজার ৫৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ২৭২ জন, দিনাজপুরের ১৩৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১২০ জন, পঞ্চগড়ের ১০৫ জন, গাইবান্ধার ১০৪ জন, নীলফামারীর ৯৬ জন, কুড়িগ্রামের ৯৩ জন ও লালমনিরহাট জেলার ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে মারা যাওয়া ৯ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯০২ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৬৬ জন, রংপুরে ১৯৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৭৩, নীলফামারীতে ৬৪, পঞ্চগড়ে ৫৫, লালমনিরহাটে ৫৫, কুড়িগ্রামে ৫২ ও গাইবান্ধায় ৪২ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৪৪ জন। বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৯৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১২ হাজার ৫৮৪ জন, রংপুরে ৯ হাজার ৭২৭ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ১৬ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৭৮০ জন, নীলফামারীতে ৩ হাজার ৫২৩ জন, কুড়িগ্রামে ৩ হাজার ৪২৫ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ১৯২ জন এবং পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৬৯৩ জন রয়েছেন। করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে করোনা ইউনিটে চিকিৎসার সক্ষমতা না বাড়ালে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুরো বিভেগেই সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসায় আইসিইউ শয্যা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সঙ্গে বেড়েছে অক্সিজেনেরও চাহিদা। অনেক রোগী অক্সিজেন অভাবে মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে বেড না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে অনেকেই। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী লাইজু জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। বর্তমানে একশ শয্যার রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ৯৪ জন এবং রমেক হাসপাতালে ৭১ শয্যার ইউনিটে ৫৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরও বেড বাড়ানো জরুরি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসাসেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর করোনা ডেডিকেটেড আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি শয্যা রয়েছে।
×