ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মহেশখালীতে চার বছরেও শেষ হয়নি সংযোগ ব্রিজ নির্মাণের কাজ

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ৩০ জুলাই ২০২১

মহেশখালীতে চার বছরেও শেষ হয়নি সংযোগ ব্রিজ নির্মাণের কাজ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার/ সংবাদদাতা, মহেশখালী ॥ ছোট মহেশখালীর ব্যস্ততম সিপাহীপাড়ার প্রধান সড়কে ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের কাজ চার বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। নতুন করে নির্মাণের আশ্বাসে ৪বৎসর আগে ভেঙ্গে ফেলা ব্রিজটি আবার কখন নির্মাণ করা হবে, তা বলতে পারছে না কেউ। তবে মাঝে মধ্যে বিশেষ করে বর্ষার সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন দ্রুত গতিতে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিতে আসে। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় দীর্ঘ চার বছরের সময় পার হলেও এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে গত ২০১৮ সালের শুরুতে বানিয়ার দোকান থেকে সিপাহীর পাড়া সড়কের উপর সিপাহী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। তখন দ্রুত গতিতে একই বছর ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানান কারণে দীর্ঘ চার বৎসর সময় ধরে কাজ শেষ হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে সিপাহীর পাড়ার প্রায় ত্রিশ হাজারের অধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। এলাকাবাসী জানায়, মানুষ ও ছোটখাট যান চলাচলের জন্য সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দেন। পরে তা ভেঙ্গে গেলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আরও একটি ব্রিজ করে দেন। তারা আরও জানান, তৃতীয়বারের মতো ব্রিজটি ভাঙ্গলে ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রায়হান, মোহাম্মদ সিদ্দিক সহ এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অস্থায়ী কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করেন। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঠের ব্রিজটি মাঝখানে ও দুই পাশে ভেঙ্গে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে গিয়ে টমটম গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এদিকে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, ব্রিজের কাজ ঠিক সময়ে সম্পন্ন হয়ে যেত। ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ব্যক্তিগতভাবে দুইবার কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করেছিলাম। যেহেতু আবারও কাঠের ব্রিজটি নষ্ট হয়েছে, তাই দ্রুত সময়ে বিকল্প ব্রিজ করে দিব। আর যথাসম্ভব খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হবে। উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, তিন বছর আগে ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যায়। পরে আরও তিনবার টেন্ডার দেয়া হয়। কিন্তু মালামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে কেউ টেন্ডার নেয়নি। চতুর্থবারের টেন্ডারে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছিল। পরে করোনার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন বর্ষায় পানি জমার কারণে কাজ করতে পারছে না তারা। টানা বৃষ্টি কমলে দ্রুতগতিতে ব্রিজ নির্মাণের কাজ চালু হবে।
×