ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর শেষ দিন কাল

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ৩০ জুলাই ২০২১

জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর শেষ দিন কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল চারুকলার গতি-প্রকৃতি। সেই সুবাদে পরিবর্তিত হয় চিত্রশিল্পীর ছবি আঁকার বিষয় থেকে আঙ্গিক। শিল্পকর্ম সৃজনে যুক্ত হয় নতুন ভাবনার খোরাক। রং আর রেখার আঁচড়ের মাঝে উঁকি দেয় শিল্পিত ভুবনের নতুন দিগন্ত। সেই নতুনের আবাহন ও পরিবর্তনশীলতাকে ধারণ করে চলছে ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। জল রং, তেল রং, মিশ্র মাধ্যম, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার নানা ধারা নিয়ে হাজির হয়েছেন চিত্রকররা। রয়েছে নয়নজুড়ানো ভাস্কর্য থেকে মনমাতানো স্থাপনাশিল্প। বৈচিত্র্য ছড়াচ্ছে ভিডিও আর্ট বা নিউ মিডিয়ার কাজ। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার কয়েকটি গ্যালারিজুড়ে সজ্জিত হয়েছে এই শিল্পসম্ভার। তবে শিল্পকর্মগুলো গ্যালারিতে উপস্থাপিত হলেও মহামারীর আগ্রাসনের কারণে সরাসরি দেখার উপায় নেই। করোনাকালের অবরুদ্ধ জীবনে ঘরে বসে অনলাইনে উপভোগ করতে হবে এই শিল্পায়োজন। ঢুঁ মারতে হবে একাডেমিক ওয়েবসাইটে (িি.ি ংযরষঢ়ধশধষধ.মড়া.নফ)। গত ২৯ জুন থেকে সূচনা হওয়া মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীর শেষ আগামীকাল শনিবার। এবারের আয়োজন প্রসঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মিনি করিম বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করেছিলাম প্রদর্শনীটির সঙ্গে দর্শককে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে। এ কারণে শিল্পকর্মগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছিল গ্যালারিতে। এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরাও সেটাই চেয়েছিল। কারণ জাতীয় পর্যায়ের এই শিল্পায়োজনে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা নিজেদের মেলে ধরতে চায়। পাশাপাশি শিল্পরসিকের কাছ থেকে নিজের কাজের মূল্যায়নটিও তারা জানতে উৎসুক থাকে। কিন্তু করোনার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার তাগিদে শেষ পর্যন্ত প্রদর্শনীটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারপরও প্রকৃত শিল্পানুরাগীরা ঠিকই অনলাইনের আশ্রয়ে উপভোগ করছেন এই প্রদর্শনী। সেই অর্থে ভার্চুয়াল আয়োজন হলেও একেবারে হতে হয়নি। আশানুরূপ দর্শকের সাড়া মিলেছে। সারাদেশের নানা প্রান্তের শিল্পীদের বহুমাত্রিক শিল্পের সম্মিলনে চলছে জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। উপস্থাপিত হচ্ছে ৩২৩ শিল্পীর সৃজিত ৩৪৭টি শিল্পকর্ম। এসব শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে ১৫৭টি চিত্রকলা। ছাপচিত্রের সংখ্যা ৫৩টি, আলোকচিত্র ১৭টি, ভাস্কর্য ৪৭টি, প্রাচ্যকলা ১০টি, মৃৎশিল্প ৭টি, কারুশিল্প ২০টি, গ্রাফিক্স ডিজাইন ৫টি, স্থাপনাশিল্প ১৮টি, নিউ মিডিয়া আর্ট ৭টি এবং পারফরমেন্স আর্ট ৬টি। এছাড়া এ বছরের নতুন সংযোজন চারজন কিউরেটরের তত্ত¡াবধানে চারটি ভিন্ন মাত্রার আর্ট প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক কিউরেটরের অধীনে দশজন করে শিল্পী কাজ করেছেন। প্রত্যেক কিউরেটর তাদের নিজস্ব থিম এবং স্পেস নিয়ে তাদের কাজ সাজিয়েছেন। প্রত্যেক কিউরেটরকে তাঁদের প্রজেক্টের জন্য দুই লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জাতীয় চিত্রশালার ছয় নং গ্যালারিতে ঠাঁই পেয়েছে এই কিউরেটেড উপস্থাপনা। কিউরেটররা হলেন কনক চাঁপা চাকমা, মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, মোঃ জিহান করিম ও জয়দেব রোয়াজা।
×