ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চতা সর্বোচ্চ ফ্লাড লেভেল থেকে ১৮ মিটারের বেশি

সবচেয়ে উঁচু নৌযানও পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চলতে পারবে

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ৩০ জুলাই ২০২১

সবচেয়ে উঁচু নৌযানও পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চলতে পারবে

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে দেশের নদীপথের সবচেয়ে উঁচু জলযানও চলাচল করতে পারবে। বিআইডব্লিউটিএ’র ১ম শ্রেণীর নৌ রুটের মানের চেয়েও সেতুর নিচে বেশি ফাঁকা রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জনকণ্ঠকে জানান, সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে ১০০ বছরের পরিকল্পনা মাথায় রেখে। সেতুটির যথাযথ যত্ন নেয়া হলেও শত বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। তাই বর্তমান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা মাথায় রেখেই এটি করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী হচ্ছে পদ্মা। এই নদী দিয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচলে যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্যই বিশেষ উচ্চতায় এটি তৈরি করা হয়েছে। এতে খরচও বেড়েছে। তিনি জানান, দেশের সর্বোচ্চ ফ্লাড লেবেল থেকে ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স (নদী থেকে সেতুর উচ্চতা) রাখা হয়েছে ১৮ দশমিক ৩০ মিটারেরও বেশি। সাধারণত নদীতে সেতু তৈরি করা হয় ৭৬ দশমিক ২২ মিটার হরাইজেন্টাল (প্রশস্ত) ক্লিয়ারেন্স থাকার কথা। সেখানে পদ্মা সেতুর হরাইজেন্টাল ক্লিয়ারেন্স ১৫০ মিটার। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জনকণ্ঠকে জানান, পদ্মা সেতুর ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ও হরাইজেন্টাল ক্লিয়ারেন্স দুটিই প্রথম শ্রেণীর নদী পথের চেয়ে বেশি স্ট্যান্ডার্ড। তাই এই সেতু দিয়ে নদীতে চলাচলরত সবচেয়ে উঁচু নৌযান চলাচল করতে পারবে নির্বিঘ্নে। পর্যাপ্ত ক্লিয়ারেন্স থাকার কারণে খুঁটিতে আঘাত লাগার আশঙ্কাও কম। কিন্তু প্রবল স্রোতে জলযান চলার সক্ষমতা এবং স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জলযান চালানোর সক্ষমতার চালক থাকতে হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সাহসী উদ্যোগে সেতু নির্মাণে শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয় পুরো দেশের মানুষের ভাগ্য বদলে দিবে। জলযান বিশেজ্ঞরা জানান, নদীতে সব সময়ই স্রোত থাকবে আর বর্ষায় স্রোতের গতি আরও বেড়ে যায়। আর সেতুর নিচে এই স্রোত নানা কারণেই বেশি থাকে। কারণ সেতুর খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্রোতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। তখন নানা রকম ঘূর্ণি স্রোত সৃষ্টি হয়। তাই এতবড় নদীতে চলাচলের জন্য যে মনোযোগ এবং দায়িত্বশীলতা এটি জরুরী। হেলা ফেলা করে যান চালালে যে কোন স্থানেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর সেতুর নিচে আরও বেশি সতর্ক থাকা স্বাভাবিক। সরকারী সংস্থা বিআইডবব্লিউটিসির পরিচালতি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি রুটে চালকসহ সকল স্টাফই দক্ষ ও যোগ্য হওয়ার কথা। কারণ অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলই সাধারণত নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সেখানে এমন দুর্ঘটনা বা সাবধান না হওয়ায় দুঃখজনক। পদ্মা সেতুকে চলতি জুলাই মাসেই তিন দফা ফেরি প্রচণ্ড ধাক্কা দেয়। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর পিয়ারে ঘন ঘন ফেরির আঘাতে পদ্মা সেতুর ক্ষতি না হলেও এটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারও অবহেলায় দেশের কোটি কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতুর ক্ষতি না হলেও ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে এখনই সতর্কতা প্রয়োজন বলছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুবা ভবিষ্যতে সেতুকে হুমকিতে ফেলবে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জানান, ভূমিকম্পের মাত্রা রিক্টার স্কেলে ৮-এর বেশি সহ্য করার ক্ষমতা রাখে পদ্মা সেতু। তিনি বলেন, প্রতি সেকেন্ডে নদীর স্রোতের গতি ৩ মিটার এবং স্রোতের ঘূর্ণি ৬২ মিটার গভীরে গিয়ে মাটি সরিয়ে দেয়া, পুরো সেতু গাড়ি ভর্তি এবং সেতুতে দ্রæত গতির ট্রেন চলমান এসব একসঙ্গে হলে এবং ৪ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতার শক্তি দিয়ে পিয়ারে আঘাত করলেই সেতুর ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু গত ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কার ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টনেরও কম। সেতু বিভাগ জানায়, চলতি ২, ১৬ ও ২৩ জুলাই পদ্মা সেতুর খুঁটিতে তিন দফায় তিনটি ফেরি আঘাত করে। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতুর সঙ্গে বিশ্বে আর কোন সেতুর মিল নেই। পদ্মা সেতু একটি ইউনিক সেতু। বাঙালীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। প্রথমটি বিশ্বের দীর্ঘতম ১২২ মিটার পাইল স্থাপন। দ্বিতীয়টি ১৫ টন ওজনের ৯৮৭২৫ কিলো নিউটন ক্ষমতা সম্পন্ন ফিকশন প্যান্ডিলাম বেয়ারিং ব্যবহার ও তৃতীয়টি নদী শাসনের সর্বোচ্চ ১.১ বিলিয়ন (প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ কোটি) টাকার চুক্তি নিয়ে পদ্মা সেতু তিন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। বিশ্বে প্রথম কিছু আধুনিক নির্মাণ হয়েছে পদ্মা সেতুতে। পৃথিবীর কোথাও হয়নি এমন প্রথম দুই বিশেষ উপাদান ব্যবহার হয়েছে। একটি হচ্ছে- ভার্টিক্যাল আরসিসি বোর্ড পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট স্কিন ফিকশন করে দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে নদীর তলদেশে বহির্ভাবে শক্তি বৃদ্ধি করা। পদ্মা সেতুতে এমন পাইল সংখ্যা ২২টি। অপরটি হলো স্টিল টিউবুলার ড্রিভেন পাইলে গ্রাউটিং ইনজেক্ট করে পাইলের তলদেশের স্কিন ফিকশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এমন পাইল সংখ্যা ২৫২টি। পুরো সেতুতে ৫ ধরনের ৯৬টি বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৫টি স্প্যানের সঙ্গে দুটি করে বেয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে ৪টি করে বেয়ারিং ব্যবহার হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৭টি জয়েন্ট রয়েছে। পদ্মা সেতুর পাইলে ১ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর সর্বমোট পাইল সংখ্যা ২৬৬টি। পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের ওজন ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৮৮ মেট্রিক টন। প্রতিটি স্প্যানের সর্বোচ্চ ওজন ৩০ হাজার ৮৮ মেট্রিক টন। পদ্মা সেতুর প্রতিটি পাইলের সক্ষমতা ১২৪ দশমিক ৬০ মেগানিউটন। অর্থাৎ প্রায় ৮ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রয়েছে ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার সংযোগ সেতু। সেতুতে সাধারণ আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও আর্কিটেকচার লাইটিংও থাকছে। বিশেষ দিবসগুলোতে এবং বিশেষ সময়ে লাইটিংয়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। পদ্মা সেতুর ন্যাশনাল গ্রিডিংয়ের জন্য সেতুর ৫০০ মিটার ভাটিতে পদ্মায় ৮টি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের পাইল তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে। রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের বিদ্যুত এই লাইনে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। পুরো পদ্মা সেতেুতে সিসি ক্যামেরা থাকবে। সেতু চালুর প্রথমেই প্রতিদিন ১২ হাজার যান পারাপারের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ২০৩০ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার গাড়ি চলাচলের টার্গেট রয়েছে। শুরুর দিকে প্রতিদিন টোল আদায়ে আয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকার। অতিরিক্ত মাল পরিবহন ঠেকাতে সেতুর দুই প্রান্তে দুইপারেই ওয়েব্রিজ বসানো হচ্ছে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর মূল পদ্মা সেতুর কাজের কাউনডাউন শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর খুঁটির পাইলিং উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মূল সেতুর কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু করেন। পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে পদ্মা সেতু। প্রকল্প ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল সেতুর ব্যয় ১২ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা। নদী শাসন কাজের ব্যয় ৮ হাজার ৯৭২.৩৮ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ খাতে ব্যয় ৯৪২ দশমিক ২৬ কোটি টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৪৯৯ দশমিক ৫১ কোটি টাকা, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়া খাতে বরাদ্দ ১ হাজার ৪৯৯ দশমিক ৫১ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাতে (পরামর্শক, সেনা নিরাপত্তা, ভ্যাট ও আয়কর, যানবাহন, বেতন ও ভাতাদি এবং অন্যান্য) ব্যয় ২ হাজার ৮৮৫ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা। চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানিকে মূল সেতু এবং চীনা সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন নদী শাসনের ঠিকাদার। পদ্মা সেতুতে ২ হাজার বিদেশীসহ ৫ হাজার কর্মী কাজ করছে এখন। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, পদ্মা সেতুটি আগামী বছরের জুনের মধ্যেই চলাচল উযযোগী করতে পুরোদমে কাজ এগিয়ে চলছে। অনুসন্ধান কমিটি শিমুলিয়ায় ॥ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান তথা পর্যবেক্ষণ কমিটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি শিমুলিয়ায় পৌঁছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হয়। কমিটি সরেজমিন বিআইডবিøটিসির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এর আগে গেল মঙ্গলবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম খানকে প্রধান করে উচ্চ পর্যায়ের ৪ সদস্য বিশিষ্ট এই অনুসন্ধান কমিটির অপর সদস্যরা হলেন নৌ পরিবহন অধিদফতরের ইঞ্জিনিয়ার এ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (অর্থ) শাহিনুর ভূইয়া এবং বিআইডবিøউটিএর পরিচালক (নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন) মোঃ শাহজাহান। কমিটি বুধবার প্রথম সভা করে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এই কমিটি শিমুলিয়া আসেন। কমিটি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের রো রো ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়ার ঘটনা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেন। এই সময় পদ্মা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদী শাসন) মোঃ শারফুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে নৌ পরিবহন সচিবের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কোঅপ্ট করতে পারবে। কমিটিকে ফেরি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা, ফেরি নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যালোচনা (ভেসেল ট্র্যাকিং সিস্টেম-ভিটিএস এবং রেডিও সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষাসহ), ফেরি পরিচালনার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন, ফেরি মেরামত, ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও ব্যয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা (অধিক পুরাতন/ব্যবহার অনুপযোগী ফেরিসমূহ স্ক্র্যাপ করা যায় কিনা সে বিষয়ে মতামত প্রদানসহ), ফেরির মাস্টার ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া পরীক্ষা করা ও নিরাপদ ফেরি পরিচালনার জন্য দিক-নির্দেশনামূলক প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর খুঁটিতে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা দেয় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের রো রো ফেরি শাহজালাল। এ ঘটনায় শাহজালাল ফেরির মাস্টার আবদুর রহমান ও সুকানি সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
×