গ্রাহকসেবা প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহকসেবা সমৃদ্ধ প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মাঝে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। রোডম্যাপ অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন। প্রতিমন্ত্রী বুধবার অনলাইনে ‘বিদ্যুত বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা’ সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুত বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক। মে মাসেই যেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়- এই রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এডিপি বাস্তবায়নে আরএডিপি বরাদ্দের শতভাগ বা সর্বোচ্চ বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা প্রধানসহ সকল প্রকল্প পরিচালককে জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। বিদ্যুত বিভাগে ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে ২৪৭৬৮.২২ কোটি টাকা (জিওবিতে ১০৮০০.১৮ কোটি, প্রকল্প সাহায্য খাতে ১২৯৫৯.৯৯ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১০০৮.০৫ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল। অর্থ বিভাগ নির্ধারিত ব্যয় সীমা জিওবিতে ৯৬৪৫.১৭ কোটি, প্রকল্প সাহায্য খাতে ১২৯৫৯.৯৯ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১০০৮.০৫ কোটি অর্থাৎ মোট ২৩৬১৩.২১ কোটি টাকা নির্ধারিত ছিল। জুন পর্যন্ত ব্যয় জিওবিতে ৯৪৯৩.০৪ কোটি, প্রকল্প সাহায্যে ১২৭৭২.৪৫ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৮১৪.১৪ কোটি অর্থাৎ মোট ২৩০৭৯.৬০ কোটি টাকা। আরএডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী জুন পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৩.১৮ শতাংশ আর সিলিং অনুযায়ী জুন পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৭.৭৪ শতাংশ। অর্থাৎ আর্থিক অগ্রগতি ৯৭.৭৪ শতাংশ। বিদ্যুত বিভাগ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৯৭টি (বিনিয়োগ ৮২টি, কারিগরি ১০টি এবং নিজস্ব অর্থায়নে ৫টি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভার্চুয়াল এই সভায় বিদু্যুত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্য দফতর প্রধানগণ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে জিওবি ও বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিলভুক্ত প্রকল্পসমূহের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা’ সভাও এদিন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জানানো হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৩০টি (জিওবি ও বৈদেশিক সহায়তা পুষ্ট ৮টি, নিজস্ব অর্থায়নে ১৬টি ও জিডিএফ (গ্যাস উন্নয়ন তহবিল) ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আরএডিপি বরাদ্দ ছিল ২৯৫৮.৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যয় করা হয়েছে ৩০৮৪.৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আর্থিক অগ্রগতি ১০৪.২৭ শতাংশ। যদিও আরএডিপি অনুমোদনের পর আরও ১১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।