ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনার কারণে সাফটা বৈঠক বাতিল

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২৯ জুলাই ২০২১

করোনার কারণে সাফটা বৈঠক বাতিল

এম শাহজাহান ॥ মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় সার্কভুক্ত দেশের কাছে বরাবরই ন্যায্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা চেয়ে আসছে সরকার। এ কারণে সাফটা বৈঠক ঘিরে বাংলাদেশ এবারও সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান ও নেপালের অনাগ্রহের কারণে নির্ধারিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি আর হয়নি। কবে নাগাদ সাফটা বৈঠক হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রæত সাফটা বৈঠক চাওয়া হবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, সাফটা চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর দেখতে গত কয়েক বছর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছর রাজধানীর হোটেল কন্টিনেন্টালে আয়োজিত দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সাউথ এশিয়া ফ্রি ট্রেড এরিয়া (সাফটা) কার্যকর করতে ভারতকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলেছে বাংলাদেশ। এই সাফটা চুক্তির আওতায়ই বাংলাদেশ ভারতে প্রায় ২৫টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সুবিধা আদায়ে ভারত-পাকিস্তান দ্ব›েদ্বর প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের পর সাফটার কোন বৈঠক হয়নি। দীর্ঘ ছয় বছরে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার বৈঠকের দিনক্ষণ ও সময় চূড়ান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হলো। তবে বৈঠক বাতিল হলেও সম্প্রতি সাফটা চুক্তির শর্ত মানতে সম্প্রতি ভারতকে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক কোন বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভারতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় না। তাই বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক চুক্তির নিয়মই ভারতকে অনুসরণ করা প্রয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে নতুন কাস্টমস রুলস প্রয়োগ না করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে সাফটাসহ যেসব আঞ্চলিক চুক্তির আওতায় ভারতে বাংলাদেশী পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, সেগুলোর শর্ত মেনে চলতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সাফটা চুক্তি কার্যকর হলে রফতানি বাণিজ্যে আরও ভাল করবে বাংলাদেশ। আর এ কারণে এবারের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকটি করতে বাংলাদেশ বেশ জোরেশোরে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালের অনাগ্রহ থাকায় আর শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে-ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে তারা আগ্রহী নয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বৈঠকের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের বাণিজ্য সুবিধা নিয়ে এক ধরনের দ্ব›দ্ব রয়েছে। এ কারণে সাফটা বৈঠকের ব্যাপারে এ দুটি দেশেরও আপত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
×