ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিনদিনে আটক আড়াইশ রোহিঙ্গা

নগদ টাকার লোভে কাজের সন্ধানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২৮ জুলাই ২০২১

নগদ টাকার লোভে কাজের সন্ধানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কাজের সন্ধানে ও নগদ টাকা রোজগারের উদ্দেশে ক্যাম্প ছাড়ছে রোহিঙ্গারা। গত ৩ দিনে রামুতে আড়াই’শ রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। নগদ টাকার লোভে বাড়তি কামাই করতে এভাবে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জোয়ারিয়ানালা গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার) চেকপোষ্ট ১৩৯ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়ে। এরা সবাই ইজিবাইক, রিক্সায় চড়ে এবং পায়ে হেটে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। এরআগে গত রবিবার একই চেকপোষ্টে ৭৮ জন, শনিবার ৩০ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে। ইউএনও জানান, আটকৃকদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আটকের পর তাদের বাংলাদেশে লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাষ্ট) এবং রামু থানা পুলিশের সহায়তায় উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে কৌশলে পালিয়ে কাজের সন্ধানে চকরিয়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, পটিয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছিল। আটককৃত একাধিক রোহিঙ্গা জানায়, তারা ক্যাম্পে পর্যাপ্ত খাবার আর নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাচ্ছেন না। তাই তারা নিরুপায় হয়ে অধিক টাকা রোজগারের আশায় ক্যাম্প ছেড়ে কাজের সন্ধানে বের হয়েছে। যদিও তারা স্বীকার করেছেন। চেকপোস্টে দায়িত্বরত জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্য নুরুল আমিন, নাজিম উদ্দিন (দফাদার), নুরুল হুদা, জিয়া উদ্দিন, হামিদ ও বজল আহমদ জানান, তারা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে গত ২৩ জুলাই থেকে এখানে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল রোধে কাজ করে আসছে। এসময় প্রতিদিন লোকজনকে জিজ্ঞাষাবাদ করতে গিয়ে রোহিঙ্গা শনাক্ত করতে থাকেন। প্রথমে কয়েকজন করে হলেও পরে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত তিন দিনে তারা আড়াই শত জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করে আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের মত কিছু স্থানীয় ব্যক্তিরা পরিস্থিতির জন্য অনেকটা দায়ি। কারণ কম মজুরিতে পাওয়ায় রোহিঙ্গাদের অনেকে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গৃহস্থালী এবং কৃষি ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়। তাই অনেক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকল সুবিধা পাওয়ার পরও লোভের বশবর্তী হয়ে কাজের আশায় দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িড়ে পড়ছে। তাই যারা রোহিঙ্গাদের কাজের সুযোগ বা আশ্রয় দিচ্ছে- তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
×