ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে নিখোঁজের ১ একমাস ৬ দিন পর উঠান থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২৮ জুলাই ২০২১

মৌলভীবাজারে নিখোঁজের ১ একমাস ৬ দিন পর উঠান থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার ॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নিখোঁজের ১ মাস ৬ দিন পর গৃহবধু সুচিত্রা শব্দকর (৪০) এর লাশ নিজ উঠান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুবাস বাউরী ওরপে নুনু (৫০) কে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে সোপোর্দ করে। বুধবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকায় নিজ বাড়ির আঙ্গিনার পাশে মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুচিত্রা শব্দকর বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকার সুবাস বাউরী ওরপে নুনুর স্ত্রী। এই দম্পতির ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে চলতি বছরের ২২ জুন নিখোঁজ হন সুচিত্রা শব্দকর। ১ মাস ৬ দিন পর বুধবার ২৮ জুলাই সকালে নিহত সুচিত্রার মেয়ে সীমা শব্দকর (২২) এর জেরার মুখে তার বাবা সুবাস একপর্যায় স্বীকার করে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। এতে সুচিত্রার মৃত্যু হলে সে লাশ বাড়ির আঙ্গিনার পাশে লাশ পুঁতে রেখেছে। একথা শুনে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে সুবাস পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকার লোকজন সুবাসকে পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে বাড়িতে এনে গাছের সাথে বেঁধে রেখে কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সী, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সোহেল রানার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে একই ভাবে সুবাস বাউরী ওরপে নুনু পুলিশের কাছে স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করে ও লাশ পুঁতে রাখা স্থানটি দেখায়। দুপুর ১টার দিকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সুবাস বাউরী পারিবারিক কলেহের জেরে এই হত্যাকা- ঘটায় বলে জানায়। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, নিহত লাশের সুরতহাল তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরে হয়েছে। স্থানীয় মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু জানান, পারিবারীক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। ঘাতক সুবাস বাউরী একজন নেশাখোর ছিল। সব সময় মদ্যপানসহ নানা নেশা জাতীয় পান করত।
×