ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে সাড়ে তিন বছরেও চালু হয়নি অকেজো এক্সরে মেশিন

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২৮ জুলাই ২০২১

টাঙ্গাইলে সাড়ে তিন বছরেও চালু হয়নি অকেজো এক্সরে মেশিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ সাড়ে তিন বছর ধরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালে এক্সরে করাতে না পেরে দ্বিগুণ টাকা ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে রোগীদের। পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন অসুস্থ মানুষ। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক্সরে মেশিনটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেশিন সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনেরা। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কবির হোসেন জানান, বিগত ২০১৭ সালের (২ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেঙ্গল সাইন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানো হয়। প্রায় ছয় মাস এই মেশিন দিয়ে কাজ চলে। তারপর থেকে মেশিনটি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেশিনটির পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি থাকলেও কোম্পানি তার চুক্তি অনুযায়ী কোনো মেরামত করে দেয়নি। একাধিকবার ওই কোম্পানিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সরেজমিনে রেডিওলজি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষটির দেয়ালের পোস্টার স্টার উঠে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় এক্সরে মেশিনটির ওপর ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মেশিনটি সচল না থাকায় রোগীদের হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে অধিক অর্থ ব্যয় করে এক্সরে করতে হচ্ছে। শহিদুল ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, জেনারেল হাসপাতালে এ পর্যন্ত চারবার রোগী নিয়ে এসেছি। মেশিন অকেজো থাকায় বাইরে থেকে এক্সরে করাতে হয়েছে। রোগীকে বাইরের ক্লিনিকে নিয়ে গেলে রোগীরও কষ্ট হয়, সঙ্গে থাকা স্বজনদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়। সাবালিয়া এলাকার মনিরুল ইসলাম জানান, গত মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাঁর এক আত্মীয়ের ডান পা ভেঙে যায়। হাসপাতালে নিয়ে এলে এক্সরে করাতে বলা হয়। কিন্তু হাসপাতালে এক্সরে মেশিন অকেজো থাকায় পাশের ক্লিনিক থেকে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে করাতে হয়েছে। হাসপাতালের বাইরে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রোগীর অনেক কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম জানান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি চালু থাকলে দেড় থেকে ২০০ টাকায় রোগীরা এক্সরে করতে পারতেন। কিন্তু এটি অকেজো থাকায় বাইরে থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় এক্সরে করতে হচ্ছে। এর বাইরেও বাড়তি যাতায়াত খরচ হচ্ছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি অকেজো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সরবরাহকারী কোম্পানিকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিরও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
×