ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যামনেস্টির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করলেন তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮:৪৪, ২৭ জুলাই ২০২১

অ্যামনেস্টির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করলেন তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ বিষয়ে সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। আজ মন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রণীত এ আইন বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। মানুষ সাধারণভাবে ও অনলাইনে মত প্রকাশ করতে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ এবং এ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সময়ে-সময়ে সরব আবার অনেক সময় প্রচণ্ড নীরব থাকে। সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা হারানোর বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ দেশে শত শত মানুষকে পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে হত্যা-দগ্ধ করার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো বিবৃতি দেয় না, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ হত্যার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সপ্তাহ চুপ থাকে আবার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দেয়, তখন এই সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা আসলে হারিয়ে গেছে।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয় ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এ আইন। একজন গৃহিণী, সাংবাদিক, রিকশাচালক বা কর্মকর্তা—সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই এই আইন। আগে যখন ডিজিটাল বিষয়টি ছিল না, তখন আইনেরও প্রয়োজন ছিল না। এখন যখন বিষয়টি এসে গেছে, মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনেরও প্রয়োজন আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কারও চরিত্র হনন করা হলে, অসত্য অপপ্রচার হলে, তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এ আইন এবং সাধারণ মানুষই এ আইনের আশ্রয় নেন। বিশ্বব্যাপী এ ধরনের আইনের উদাহরণ তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুরসহ অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং এ নিয়ে বারবার কথা বলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ সময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের করোনার টিকা গ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রিজভী আহমেদ আগে টিকা নিয়ে সমালোচনা করলেও এখন টিকা নেওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন। মন্ত্রী বলেন, এটা শুভবুদ্ধির উদয়।
×