অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের দিনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দুই দিন দরপতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার। অবশ্য এই দরপতনের মধ্যেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
সোমবার বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে শেয়ারবাজার বিষয়ক ১০দিন ব্যাপী রোড শো শুরু হয়েছে। এই রোড শোতে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে স্ট্রেক হোল্ডারদের বড় একটি প্রতিনিধিদল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এবারের পুরো কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘রেইজ অব বেঙ্গল টাইগার’। পর্যায়ক্রমে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ আরও তিন শহর ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোতে রোড শো চলবে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রোড শো শুরুর পরদিন মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। তবে সোমবার দরপতনে আধিপত্য দেখালেও মঙ্গলবারে বেশিরভাগ বীমা ও বস্ত্র কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। তবে বাকি খাতগুলো ব্যাংকের পথ ধরেছে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার।
এদিন তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র চারটির দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির। আর চারটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপরদিকে বীমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২টির। বাকি দুটির শেয়ার লেনদেন হয়নি। আর বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির এবং সাতটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বীমা ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়লেও সব খাত মিলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৪টির। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্য সূচকের পতন হলেও এদিন বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৪২৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
