ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দুই মিস্ত্রি ও এক শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০০:৩৫, ২৭ জুলাই ২০২১

বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দুই মিস্ত্রি ও এক শ্রমিকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে পৃথক স্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের এবং যশোরে এক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কলাবাগানে করোনারোধে বিধিনিষেধের মধ্যে জুয়া খেলার সময় আটক ২৪ জুয়াড়ি গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর সবুজবাগে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়েছে আব্দুর রাজ্জাক খান (২৭) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম মৃত জয়নাল খান। গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার। বর্তমানে তারা সবুজবাগ নন্দীপাড়া দক্ষিণগাঁও এলাকার ১নং গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। নিহতের ভাই দুলাল খান জানান, সোমবার দুপুরে ভাই রাজ্জাক বাইরে থেকে কাজ করে বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া করে নিজ কক্ষে শুয়েছিলেন। পরে টেবিল ফ্যানের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এর এক ঘণ্টা পর রাজধানীর কদমতলী থানার মুন্সিখোলা এলাকায় একটি কারখানায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার শরিফবাগ এলাকার বাসিন্দা। মৃত আলমগীরের সহকর্মী দ্বীন ইসলাম জানান, তারা মুন্সিহাটি হাজী তাহের রড কারখানায় বিদ্যুত মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। তিনি জানান, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে আলমগীর মোটরের সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ২৪ জুয়াড়ি গ্রেফতার ॥ করোনা সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে সরকারী কঠোর বিধিনিষেধ। এর মধ্যেও রাজধানীর কলাবাগানে চলছিল রমরমা জুয়ার আসর। খবর পেয়ে র‌্যাব সেখান থেকে ২৪ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে। মণিরামপুরে মিস্ত্রির মৃত্যু ॥ স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান, মণিরামপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে সুজন হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে মাচনা গুচ্ছগ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সুজন ওই পল্লীতে বিদ্যুত সংযোগের কাজ করছিলেন। তিনি উপজেলার সমসকাঠি গ্রামের মুনসুর বিশ্বাসের ছেলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘সরকারী ঘরে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সুজনের। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের পরিবারকে সরকারীভাবে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’
×