ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা আদায় করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৫ জুলাই ২০২১

ব্যবসায়ীকে ভয় দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা আদায় করায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় এক বিড়ি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে জোর করে ৯ লাখ টাকা নেয়ার ঘটনায় ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরা হলেন- ডিবি ইন্সপেক্টার(বগুড়া পুলিশের সাইবার সেলে কর্মরত) এমরান হোসেন তুহিন ও ডিবির সাব ইন্সপেক্টার(এসআই) শওকত আলম। এদের মধ্যে এসআই শওকতকে বরখাস্ত করে ক্লোজড করা হয়। রবিবার দু’ পুলিশ কর্মকর্তাকেই রাজশাহীতে পুলিশের রিজার্ভ রেঞ্জ ফোর্সে(আরআরএফ) ক্লোজড করা হয়। এবিষয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ কাজ করছেন। পুলিশ সুত্র জানায়, ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ২৭ মে মধ্য রাতে শহরের আল আমিন কমপ্লেক্সে মাস্টার বিড়ির স্বত্বাধিকারী হেলাল উদ্দিনের অফিসে অরো একজন মাস্ক পড়া ব্যক্তিকে নিয়ে তল্লাশি চালায়। এসময় মামলার ভয় দেখিয়ে তার নিকট থেকে ৯ লাখ টাকা আদায় করা হয়। তবে অপর একটি সুত্র জানায়, অবৈধ ব্যান্ড রোল সর্ম্পকিত কারণে তারা সেখানে অভিযান চালায়। তবে অবৈধ ব্যান্ড রোল পাওয়া গেলেও তা পুলিশ উদ্ধার করেনি বরং পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তার নাম বলে বিষয়টি ম্যানেজ করার কথা বলে কোটি টাকার ওপরে তারা দাবি করে। শেষমেষ বৈঠকে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকার বিনিময়ে রফা হয় এবং এরই একাংশ ৯ লাখ টাকা ওই রাতেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে রফা হওয়া অংকের বাকি টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ী আর দেননি। এবিষয়ে জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের নিকট ওই ব্যবসায়ী ১৩ জুলাই লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার ২৪ জুলাই ডিবি ইন্সপেক্টর তুহিনকে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড এবং এস আই শওকত আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে ক্লোজড করা হয়। রবিবার তাদের তাদের রাজশাহী আরআরএফ’তে সংযুক্ত করা হয়। এব্যাপারে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুয়া জানিয়েছেন, ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।অভিযুক্ত একজনকে বরখাস্তসহ দু’জনকেই আরআরএফ রাজশাহীতে ক্লোজড করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরো জানান, কোন সিনিয়র অফিসারের নামে নয়, দুই কর্মকর্তা মামলার কথা বলে নিজেরাই ৯ লাখ টাকা নিয়েছিলেন বলে প্রমান পাওয়া গেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হবে বলে তিনি আশা করেন। অপর দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে এবং মাস্ক পড়া অপর ব্যক্তির বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীর অফিসে গিয়ে টাকা নেয়া হয়েছে এটি প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
×