ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশ থেকে আগামী সপ্তায় ট্যানারিতে চামড়া আসবে

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২৫ জুলাই ২০২১

সারাদেশ থেকে আগামী সপ্তায় ট্যানারিতে চামড়া আসবে

এম শাহজাহান ॥ আগামী সপ্তাহ নাগাদ সারাদেশ থেকে কোরবানির চামড়া ট্যানারিগুলোতে আসা শুরু হবে। ঢাকার বাইরের ওই চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কিত এ খাতের ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পশুর চামড়ার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার। চামড়া নিয়ে কোন ধরনের কারসাজি হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তিনটি কমিটি কোরবানির কাঁচা চামড়ার বেচাকেনা ও মূল্য কার্যকরের বিষয়টির দিকে নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ভাল হওয়ায় দেশে চামড়ার মূল্য কমার কোন কারণ নেই বলে মনে করা হচ্ছে। গত জুন মাস পর্যন্ত চামড়া রফতানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ। রফতানিমূল্য ভাল হওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা কারসাজির আশ্রয় নিলে আন্তর্জাতিক বাজারে ইমেজ সঙ্কট তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, সিন্ডিকেট করে মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং কর্তৃপক্ষের সংগৃহীত কাঁচা চামড়া পানির দরে কিনে নিচ্ছেন পোস্তার আড়তদার ও সাভারের ট্যানারি মালিকরা। রাজধানীতে যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা ক্রেতা না পেয়ে পশুর চামড়াটি এবার বিনামূল্যে দান করে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিভাগ ও জেলা শহরের চামড়াগুলো বেচাকেনায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি। এছাড়া রাজধানীতে এবার কোরবানির দিন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আনাগোনা তেমন ছিল না। তবে ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। রাজধানীর কোরবানি দাতারা ক্রেতা না পেয়ে অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে এবার কাঁচা চামড়া বিনামূল্যে দান-সদকা হিসেবে দিয়ে দিয়েছেন। ট্যানারি ও আড়তদার ব্যবসায়ীরা সরাসরি মাদ্রাসা থেকে প্রায় পানির দরে এসব চামড়া কিনে নিয়েছেন। ঠকেছে মাদ্রাসাগুলো। অন্যদিকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে আড়ত কিংবা ট্যানারিতে গেলে তাদের চামড়ার নির্ধারিত মূল্য দেয়া হচ্ছে না। এতে করে বিপাকে রয়েছেন ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত তারা নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বেচাকেনা করতে পারবে কি না সেই সংশয় বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, কোরবানির দিন ঢাকার বাইরে চামড়ার দাম নিয়ে কিছুটা সমস্যা হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর ঢাকাসহ সারাদেশে এবার কোন চামড়া নষ্ট হয়নি। ট্যানারিতে যেসব চামড়া আসছে তা নির্ধারিত দামে বেচাকেনা হচ্ছে কি না তা সরকারের নজরদারির মধ্যে আছে। সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হওয়া উচিত। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র বলছে, ঢাকায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়ার বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছে সরকার। ব্যবসায়ীরা অনেকটা পানির দরে কোরবানির দিন চামড়া কিনে নিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, পোস্তার আড়ত ও ট্যানারি মালিকরা কমদামে চামড়া কিনতে এবার একটু ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্যানারিগুলো থেকে প্রতিবছর ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে উৎসাহিত করা হলেও এবার ছিল উল্টো চিত্র। এবার মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষকে চামড়া কিনতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কোরবানির আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেয়া হয়েছে সামান্য টাকা। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার চামড়া সংগ্রহে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। কিন্তু দিনশেষে সংগৃহীত এসব চামড়া পানির দরে কিনে প্রতিপিস হিসেবে কিনে নিয়েছেন ট্যানারি মালিক ও আড়তদার ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল জনকণ্ঠকে বলেন, কোরবানির সারাদিন শিক্ষক-ছাত্র মিলে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হলেও সেটির ন্যায্যমূল্য তারা পাননি। ট্যানারি মালিকরা চামড়া পেতে আগেভাগে তাদেও সঙ্গে যোগাযোগ করে রেখেছিল। বড় আকারের এক একটি গরুর চামড়ায় মাত্র ৩০০-৪০০ টাকায় কিনে নিয়েছে। ছোট গরু হলে দাম আরও কম দেয়া হয়। অথচ সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হলে এসব চামড়া ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, ঢাকার বেশিরভাগ মাদ্রাসা ও মসজিদ দান-সদকা হিসেবে এবার নগরবাসীর কাছ থেকে কাঁচা চামড়া পেয়েছে। তবে বিনামূল্যে পাওয়া এসব চামড়া আবার আড়ত মালিক ও ট্যানারি কর্তৃপক্ষ প্রায় বিনামূল্যেই নিয়ে গেছেন। চামড়া দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পচনশীল বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মজুদের দিকে যায়নি। ভাল দাম না পাওয়ায় তারা ঠকেছেন। জানা গেছে, চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার ভাল থাকায় গত বছর রফতানি বেড়েছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে চামড়া খাতে রফতানি আয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছর রফতানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে রফতানি বাড়াতে ওয়েট বøু চামড়া শর্তসাপেক্ষে রফতানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি ফিনিশড লেদার বা পাকা চামড়া রফতানি বাড়বে। চামড়াজাত পণ্য বিশেষ করে জুতা, ব্যাগ, স্যান্ডেল ও বেল্টসহ নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ মার্কেটেও ফিনিশড চামড়ার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে গত এক দশক ধরে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে আসছেন। সারাবছরের অর্ধেক চামড়া সংগ্রহ করা হয় কোরবানির পশু থেকে। এবার দেশে প্রায় ৯১ লাখ গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানিকৃত এসব পশুর চামড়া আসবে ট্যানারিগুলোতে। উল্লেখ্য, ঈদ-উল-আজহার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বছর ঢাকার ক্ষেত্রে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০-৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩-৩৭ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এ দর গত বছরের চেয়ে বর্গফুটপ্রতি ৫ টাকা বেশি। এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫-১৭ টাকা ও বকরির চামড়া ১২-১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত মাঝারি আকারের একটি গরুর চামড়ার আকার হয় ২৫-৩০ বর্গফুটের মতো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার যে দাম ঠিক করে দিয়েছে, তাতে এই আকারের একটি লবণযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। ঢাকার বাইরে দাম হওয়ার কথা ৮০০-১০০০ টাকা। কিন্তু দেশের কোথাও এই দামে চামড়া বেচাকেনা করা হয়নি। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম ভাল হওয়ায় এবার চামড়া পাচারের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ সারাদেশ থেকে চামড়া আসবে ঢাকায়। ঢাকার বাইরে যাতে চামড়া যেতে না পারে সেজন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করেছে বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন আহমেদ জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, চামড়া পাচাররোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে বলা হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কোরবানি কম হওয়ায় দেশেই কাঁচা চামড়ার সঙ্কট হতে পারে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ সারাদেশ থেকে কোরবানির চামড়া ঢাকায় আসা শুরু হবে। ওই চামড়াগুলো কিনতে ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত দামে চামড়া বেচাকেনা হবে। রাজারহাট চামড়া বাজারে মূল্য পতন ॥ স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস জানান, খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাটে চামড়ার দাম ছিল কম। ঈদের প্রথম হাটবার ছিল শনিবার। হাটে চামড়াও উঠেছে অল্প পরিমাণ। ঢাকার ট্যানারি মালিকরা বকেয়া টাকা না দেয়ায় কাক্সিক্ষত পরিমাণ চামড়া কিনতে পারেননি তারা। আবার শনিবার সকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং লকডাউনের কারণে চামড়ার দাম কমে গেছে। এতে খুচরা ব্যবসায়ীরা লোকসানের শিকার হবেন। ঈদের পর রাজারহাট শনিবার প্রথম হাট ছিল ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম। তবে সেই তুলনায় চামড়ার যোগান ছিল কম। যশোরের মনিরামপুরের জীবন দাস জানান, তিনি ২২ পিস ছাগলের চামড়া হাটে এনেছিলেন। প্রতি পিস চামড়া কেনা ছিল ৪০ টাকা। এতে লবণ ও পরিবহন খরচ আছে। কিন্তু বিক্রি করেছেন ৪০ টাকা পিস হিসেবে। এতে তার লোকসান হয়েছে। অভয়নগর উপজেলার হরিচাঁদ দাস জানান, তিনি ২৪ পিস গরুর চামড়ার মধ্যে ১০ পিস বিক্রি করেছেন ৫শ’ টাকায়। আর ১৪ পিস ৩শ’ টাকা হিসেবে। অথচ তার কেনা ছিল প্রতিপিস ৫শ’ টাকায়। বাইরের ব্যবসায়ীরা না আসায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দিয়েছেন। যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আলাউদ্দিন মুকুল, জানান, ট্যানারি মালিকদের কাছে রাজারহাট ব্যবসায়ীদের ১০ কোটি টাকার উপরে পাওনা রয়েছে। মূলত নগদ টাকার সঙ্কট এবং শনিবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজারহাটে চামড়ার হাট তেমন জমেনি। চামড়াও সংগ্রহ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা ॥ স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, চামড়ার ব্যবসা নিয়ে সমস্যার কারণে এবার কোরবানির অর্ধেক চামড়াও সংগ্রহ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। দরপতন আর ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পড়ে থাকায় এবার চামড়া নিয়ে শুরু থেকেই অনাগ্রহী ছিলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। যারা সংগ্রহ করেছেন চামড়ার দাম পাওয়া নিয়েও তারা সংশয় রয়েছেন। সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ঈদে সিলেট জেলায় প্রায় দুই লাখ ও বিভাগে প্রায় ৪ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। তবে চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর সিলেট জেলা থেকে প্রায় ৭০ হাজার চামড়া সংগ্রহ করতে পেরেছেন তারা। বাকিগুলো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিয়ে গেছেন। কিছু চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে বলেও ধারণা তাদের। কিছু চামড়া পাচার হয়ে যেতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পুলিশ বলছে, এবার কোন চামড়া পাচার হয়নি। সীমান্ত এলাকায় পুলিশের কঠোর নজরদারি ছিল। সিলেট শাহজালাল চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ বলেন, এবার সিলেটের ব্যবসায়ীরা ৭০ হাজারের মতো চামড়া সংগ্রহ করেছেন। পুঁজির সঙ্কটে বাকি চামড়া সংগ্রহ করতে পারেননি। বাকিগুলো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, দাম কমে যাওয়া, লকডাউন, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, পরিবহন সমস্যা, ট্যানারি মালিকদের বকেয়া পরিশোধে গড়িমসিসহ নানা জটিলতার কারণে চামড়া ব্যবসায় এখন আর আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। ট্যানারি মালিকদের কাছে সিলেটের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে জানিয়ে বলেন, টাকা আটকে থাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে লগ্নি করার মতো যথেষ্ট টাকা নেই। ফলে অর্ধেকের বেশি চামড়াই তারা সংগ্রহ করতে পারেননি। চামড়ার দরপতনের কারণেও ব্যবসায়ীরা এখন চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানান তিনি। এদিকে, চামড়া যাতে নষ্ট না হয় তাই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবার বিনা খরচে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ সুরমার পরাইচকে ঈদের দিন বিকেল থেকে খোলা হয়েছে অস্থায়ী চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, গত বছরও দাম না পেয়ে অনেকে চামড়া ফেলে দিয়েছেন। এ ছাড়া নগরের যেখানে-সেখানে প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই চামড়া বিক্রি করতে দেখা গেছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
×