অনলাইন রিপোর্টার ॥ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় যাত্রাবাহী বাসের ধাক্কায় চান্দেরগাড়ি খাদে পড়ে দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। এদের মধ্যে দু’জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকুল ঝনঝইন্যা সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দু’জন হলেন- চকরিয়া উপজেলা কৈয়ারবিল স্টেশন এলাকার বাসিন্দা আবু সৈয়দের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩১) ও বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সিরাজকারবারিপাড়া গ্রামের তালেব আলীর ছেলে ও চান্দের গাড়ির হেলপার আলী হোসেন (১৩)।
আহত পাঁচ জন হলেন- চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা মো. মুবিন (৪০), নাঈম (১৪), কবির আহমদ (২৮), মোহাম্মদ ফারুক (১৮) ও নিহত সুফিয়া বেগমের কন্যাশিশু আদিফা মনি (৩)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
আহত মুবিন ও নাঈমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। হতাহত সবাই চান্দের গাড়ির যাত্রী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার থেকে একটি বাস যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিল। অপরদিকে চকরিয়া পৌরশহর থেকে আলীকদমের উদ্দেশে দুপুরে দেড়টার দিকে একটি চান্দেরগাড়ি ছেড়ে যায়। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকুল ঝনঝইন্যা সেতু এলাকায় চান্দের গাড়িটি পৌঁছালে বাসের ধাক্কায় সড়কের পাশে খাদে পড়ে চান্দের গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এ সময় একটি ইজিবাইক গাড়ির ধাক্কায় খাদে পড়ে যায়। ইজিবাইকের কোনো যাত্রী আহত হননি। পরে স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠায়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শাহ ফাহিম আহমাদ ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, ফাঁসিয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দু’জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত অন্য দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু রায় বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দু’জনের মধ্যে চান্দের গাড়ির হেলপার আলীর স্বজনরা মরদেহ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস, চান্দের গাড়ি ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। ওই গাড়ির চালকরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এসআই টিপু।
