ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইমোজি’র বেশে ফিরছে ক্লিপি

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ১৮ জুলাই ২০২১

ইমোজি’র বেশে ফিরছে ক্লিপি

অনলাইন ডেস্ক ॥ মাইক্রোসফট অফিসের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট ‘ক্লিপি’র সঙ্গে দেখা হয়নি এমন ব্যবহারকারী পাওয়া মুশকিল। উইন্ডোজ এক্সপি আসার পর অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ক্লিপিকে। কিন্তু আবারও ফিরছে ক্লিপি, এবার ইমোজির বেশে। মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহারকারীদের ১৯৯৭ থেকে ২০০০ দশকের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত সঙ্গ দিয়েছে ক্লিপি। কোনো সমস্যা হলেই ‘হেলপ’ লেখা নিয়ে এসে হাজির হতো পেপার ক্লিপ সদৃশ কার্টুনটি। অনেকে ক্লিপির বারবার হাজির হওয়া নিয়ে বিরক্তও হতেন। কিন্তু এর জনপ্রিয়তাও ছিল ব্যাপক, তা-ই হয়তো এক্সপি আসার পর রীতিমতো মঞ্চে ক্লিপির বেশে একজনকে সাজিয়ে এনে অবসর পত্র ধরিয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন মাইক্রোসফট প্রধান বিল গেটস। সে সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসও। এর মধ্য দিয়েই আসল ক্লিপি আনুষ্ঠানিক বিদায় নেয় ২০০১ সালে। বিদায় পর্বের শুরুতে ক্লিপিকে ‘ডিফল্ট’ থেকে সরিয়ে আনা হয়। এতে করে পর্দা থেকে সরে যায় ক্লিপির পরিচিত মুখ। এর কয়েক বছর পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয় একে। বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, আধুনিক অফিস সেবায় ক্লিপির নকশা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। মা্ইক্রোসফট ৩৬৫ সেবায় বিদ্যমান পেপারক্লিপ ইমোজির বদলে দেখা মিলবে ক্লিপির মতো দেখতে এক ইমোজি’র। সম্প্রতি এক টুইটে মাইক্রোসফট নিজ ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লিখেছিল, “আমরা এ পোস্টে ২০ হাজার লাইক পেলে ক্লিপিকে ফিরিয়ে আনব।” এ ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ওই পোস্টের লাইক ছাড়িয়ে যায় এক লাখের ঘর। মাইক্রোসফটের অন্যান্য অ্যাকাউন্টধারীরাও ১৭ জুলাইয়ের ‘ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে’ বা বিশ্ব ইমোজি দিবসকে সামনে রেখে এ পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এমনকি অফিশিয়াল এক্সবক্স অ্যাকাউন্ট থেকেও অনেক ‘ফ্রি ক্লিপি’ বা “ক্লিপিকে মুক্ত কর” রব তোলেন। পরে এক ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের নকশাকারী দল জানায়, গোটা পুনঃনকশা উদ্যোগটিই আদতে মাইক্রোসফটের ইমোজিকে রংবেরংয়ের থ্রিডি নকশায় নিয়ে আসার একটি অংশ। পরিবর্তনটি চলে আসার পর ব্যবহারকারীরা মাইক্রোসফট পণ্যে ‘পেপারক্লিপ ইমোজি’ লেখার সঙ্গে সঙ্গে এসে হাজির হবে ক্লিপির মতো দেখতে এক ইমোজি। কিন্তু অ্যাপল বা গুগল নির্মিত পণ্যে ক্লিপিকে পাবেন না ব্যবহারকারীরা, তাদেরকে আগের মতোই গতানুগতিক পেপারক্লিপ ইমোজি দেখানো হবে। ‘দ্য ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম’ ২০১৫ সালেই বিদ্যমান পেপারক্লিপ ইমোজিকে আদর্শ বলে রায় দিয়েছে। তবে, প্রত্যেক সফটওয়্যার নির্মাতার নিজ নিজ পছন্দের গ্রাফিক্স দেখানোর স্বাধীনতা রয়েছে। কোনো ইমোজিকে বদলে দেওয়ার ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে অ্যাপল ২০১৬ সালে এরকম করেছিল আগ্নেয়াস্ত্রের ইমোজির ক্ষেত্রে। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ধারাবাহিক গোলাগুলির ঘটনা ঘটার পর নিজেদের আগ্নেয়াস্ত্রের ইমোজিকে বদলে খেলনা পানির পিস্তল করে দিয়েছিল অ্যাপল। পরে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও একই পথ অনুসরণ করে। আগের ক্লিপি ছিল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের ডিফল্ট চরিত্র। ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটি লাল বল, রোবট, কুকুর এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের চরিত্রে বদলে নিতে পারতেন। সেগুলোর মধ্য থেকে শুধু ক্লিপিকেই ইমোজি হিসেবে ফিরিয়ে আনছে মাইক্রোসফট।
×