ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১৭ কোটি টাকা আত্মসাত

সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ নয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০০:০৯, ২৫ জুন ২০২১

সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জনসহ নয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমানসহ নয়জনের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক হিসাব রক্ষক আনোয়ার হোসেন, স্টোর কিপার এ কে এম ফজলুল হক, ঢাকার তোপখানা রোড সেগুনবাগিচার মেসার্স বেঙ্গল সায়েন্টিফিক এ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার, নয়াপল্টনের মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও অংশীদার আব্দুর ছাত্তার সরকার, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টার ন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও অংশীদার আহসান হাবিব, ইউনিভার্সেল ট্রেড কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী আসাদুর রহমান, মেসার্স মাকেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার কাজী আবু বকর সিদ্দীক ও মহাখালী নিমিউ এ্যান্ড টিসির অবসর প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস কুদ্দুস। সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দিলু জানান, সাতক্ষীরার সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমানসহ নয়জন অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেন। এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা সংক্রান্ত মালামাল ক্রয় ও সরবরাহের নামে তিনটি বিলের বিপরীতে মোট ১৬ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার ২২২ টাকা সাতক্ষীরা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আত্মসাত করেন । দুদকের প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক ও বর্তমান সহকারী পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই সিভিল সার্জন ডাঃ তৌহিদুর রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে এজাহারভুক্ত সকল আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/ ৪০৯/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিরা দেশত্যাগ না করতে পারে সেজন্য গত ৯ জুন সংশ্লিষ্ট আদালতে একটি আবেদন করেন। গত ১৬ জুন ভার্চুয়াল আদালতে ওই আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন এবং ২৩ জুন বুধবার তিনি এ সংক্রান্ত আদেশের কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানান।
×