ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০০:০৮, ২৫ জুন ২০২১

ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থানার নথমুলা এলাকার মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭) এবং একই জেলার ভাণ্ডারিয়া থানার ধাওয়া এলাকার মোঃ কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২)। তারা গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে। পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ২০১৯ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা থানাধীন কলমেশ^রের আইইউটি গেট এলাকার হাসেম মার্কেটের ২য় তলায় “বোর্ড বাজার প্রতিভা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ” নামের একটি অফিস ভাড়া নেয় শাহীন আলম, মিজানুর রহমান ও হাফিজুর রহমানসহ কয়েক ব্যক্তি। তারা এ সমিতির মাধ্যমে ঋণ প্রদানের লোভ দেখিয়ে ৬শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ জনকে সদস্য ভুক্তি করেন। এসব সদস্যের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। একপর্যায়ে তারা সদস্যদের টাকা আত্মসাত করে অফিসে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দেয়। গত ১৭ অক্টোবর এক সদস্য সমিতির অফিসে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরবর্তীতে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে জমা দেয়া টাকা ও কর্মকর্তাদের না পেয়ে জিএমপির গাছা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী এক সদস্য। গাছা থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গাজীপুরের পিবিআইকে। বুধবার রাতে মামলার আসামি মিজান ও হাফিজুরকে গ্রেফতার করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয় গ্রেফতারকৃত প্রতারকরা। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান ও হাফিজুর রহমান প্রথমে গার্মেন্টসে চাকরি করত। তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় মামলার অপর আসামি শাহিন আলমের (৩৫) সঙ্গে। শাহীন প্রথমে নিউ লাইফ মাল্টি প্রোডাক্টস লিঃ এর ব্যবসা করত। পরিচয়ের সূত্রধরে এ ব্যবসায় যুক্ত হয় আসামি মিজান ও হাফিজুর।
×