ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পণ্য বুঝে পাওয়ার আগে ইভ্যালিসহ ই-কমার্সকে মূল্য পরিশোধ নয়

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২৫ জুন ২০২১

পণ্য বুঝে পাওয়ার আগে ইভ্যালিসহ ই-কমার্সকে মূল্য পরিশোধ নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পণ্য বুঝে পাওয়ার আগে ইভ্যালিসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে আর কোন অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা যাবে না। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফারের ফাঁদে না পড়তে গ্রাহকদেরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি আলেশা মার্টের প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য বুঝে পাওয়ার দাম পরিশোধ করতে হবে। গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ই-কমার্সের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বহুপক্ষীয় বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, ই-কমার্স থেকে কেনাকাটার ক্ষেত্রে গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর বিক্রেতা মূল্য পাবেন। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে ই-কমার্স থেকে পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি, আলেশা মার্টসহ সব ই-কমার্সেও বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বহুপক্ষীয় বৈঠকের পর জানানো হয়, কেনাকাটার ক্ষেত্রে গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর বিক্রেতা মূল্য পাবেন। ই-ভ্যালির ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি পরিদর্শন প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান জানান, গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর ডেলিভারি মেসেজ দিলে বিক্রেতা মূল্য পাবেন। আর এ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে এই অর্থ লেনদেন হবে। তবে তার পরামর্শ, গ্রাহকেরা যেন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ বা নগদের মতো মাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেন। তারা যেন আগাম নগদ অর্থ পরিশোধ না করেন। তিনি বলেন, শীঘ্রই বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে একটি এসওপি সার্ভিস ডেভেলপ করা হবে। যাতে পণ্য ডেলিভারির আগে পেমেন্ট নেয়া না হয়। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য তাদের কাছ থেকে জামানত রাখার কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি, আলোচনাও হয়নি। এমএলএম কোম্পানির মতো ঝুঁকিতে থাকা ই-কমার্সের কোন প্রতিষ্ঠান পালিয়ে যেতে পারে কি-না এমন প্রশ্নে হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়নি, এটি দেখা হবে। তবে ঝুঁকি আছে।’ ট্যাক্স-ভ্যাট ফাঁকির কোন অভিযোগ আছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে ট্যাক্স সংক্রান্ত কিছু ছিল না, এটি দেখিনি। তাদের সম্পদের চেয়ে দায় বেশি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্রেতাদের পণ্য কেনা নিয়ে কোন বার্তা আছে কি-না প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ক্রেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। যারা অস্বাভাবিক অফার দেয়, তারা সন্দেহজনক আচরণ করতে পারে।
×