ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রামেক হাসপাতালে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৫ জুন ২০২১

রামেক হাসপাতালে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত এটাই এই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। যাদের আটজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে রাজশাহীর ১৩ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের একজন ও নওগাঁর চারজন। এদের মধ্যে চারজন মারা যান আইসিইউতে। মৃতদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১-৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৩১-৪০ বছর বয়সের চারজন। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২৪ দিনে শুধু এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৬০ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১২১ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৩ জন। এর আগে সবচেয়ে বেশি মারা যান গত ৪ জুন ও ২৩ জুন ১৬ জন করে এবং সবচেয়ে কম ১২ জুন চারজন। শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০, নাটোরের চার, নওগাঁর ছয় ও পাবনার একজন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪০৪ জন। বাকিদের মেঝে ও বারান্দায় অতিরিক্ত বেড তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে টানা চারদিন কমার পর রাজশাহীতে ফের বেড়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। সর্বশেষ বুধবার দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৮০ নমুনা পরীক্ষা করে ১২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। যা আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। এর আগে সোমবার ছিল ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। কুষ্টিয়ায় ৯ জন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন করোনা আক্রান্ত্র ও দুজন করোনা উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যান। এনিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৩ জন। হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার তাপস কুমার সরকার বৃহস্পতিবার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৯ জনের। ৪৫২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ। কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত ৬ হাজার ৮০২ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২০০ জন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ ও হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। হাসপাতালে এখন মোট ভর্তি রোগী সংখ্যা ১৫৪ জন। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলায় করোনা সংক্রমণ এখনও উর্ধগতিতে রয়েছে। সংক্রমণরোধে লকডাউনের কোন বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বগুড়ায় ৮ জন ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৩ হাসপাতালে করোনায় মারা গেছেন ৩ মহিলাসহ ৮জন। এদের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি জয়পুরহাট, ২ জনের বাড়ি বগুড়া এবং একজনের বাড়ি নওগাঁ। বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, বেসরকারী টিএমএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন ও বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে ২ জন মারা যান। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৮ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ হার ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। দিনাজপুরে ৪৮৩ জন শনাক্ত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, দিনাজপুরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮৩ জন। জেলায় এই প্রথম এতজনের করোনা শনাক্ত হলো। এর আগে গত ১৭ জুন জেলায় ২৭৫ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা ছিল তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শাহ মোঃ এজাজ-উল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর জেলায় ১ হাজার ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৮৩ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। সে হিসাবে আক্রান্তের হার ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ। এর মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৩শ’ ১৩, হাকিমপুরে ৪৮, বিরামপুরে ৪২, বোচাগঞ্জে ২০, পার্বতীপুরে ১৬, বীরগঞ্জে ১০, নবাবগঞ্জে ১০, চিরিরবন্দরে নয়, ফুলবাড়ীতে সাত, বিরলে পাঁচ, খানসামায় দুই ও কাহারোল উপজেলায় একজন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট ১শ’ ৫৮ জনের মৃত্যু হলো। চুয়াডাঙ্গায় শতভাগ করোনা শনাক্ত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় শতভাগ করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪১টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৪১ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে জেলায় করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এস এম মারুফ হাসান। নতুন শনাক্ত ৪১ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৯ জন, দামুড়হুদায় ১ জন, আলমডাঙ্গায় ৭ জন এবং জীবননগরে ১৪ জন। মৃত দুজনের মধ্যে একজন জীবননগর উপজেলা শহরের দৌলতগঞ্জের সুফিয়া খাতুন এবং সদর উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান। এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন সুস্থসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯ জন। মারা গেছেন ৯১ জন। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৯৭ জন। ঝিনাইদহে নতুন আক্রান্ত ৭৩ জন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলায় বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ জন। টেস্ট করা হয়েছে ১৪৩ জনকে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৭শ’ ১১ জনে। আক্রান্তের হার ৫১ ভাগ। করোনায় মারা গেছে কালীগঞ্জের ২ জন ও মহেশপুরের ১ জন। খুলনা জেলায় মৃত্যু নেই ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, খুলনার সরকারী ও বেসরকারী তিনটি হাসপাতালে একদিনে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে খুলনাবাসীর জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত খুলনার কেউ মারা যাননি। নমুনা পরীক্ষা আগের দিনের চেয়ে বেশি হলেও সংক্রমণের হারও নি¤œমুখী। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় খুলনার তিন হাসপাতালে ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী মারা যান। এর মধ্যে খুলনা জেলারই ছিল আট জন। খুলনা সিভিল সার্জন দফতরের কর্মকর্তা ডাঃ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় ২৬০ জনের। আক্রান্তের হার ২৯ শতাংশ। এ সময়ে খুলনায় কোন করোনা রোগী মারা যায়নি। আগের দিন ৭৭১টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৩০৫ জনের। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। নওগাঁয় আক্রান্ত ২২১ জন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে আরও ২২১ জন। এসময় আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১ জন নওগাঁ শহরের এবং অন্যজন বদলগাছি উপজেলার। জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হলো ৭০ ব্যক্তির। পঞ্চগড়ে আক্রান্ত ৩৩ ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, পঞ্চগড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুসহ নতুন করে আরও ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এটা সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৩৯ জনে। আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। নতুন মৃত ওই বৃদ্ধের নাম মিজানুর রহমান (৮৫)। তার বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউপির পাটোয়ারীপাড়া গ্রামে। ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান। গাইবান্ধায় ১৯ জন শনাক্ত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৯ জন বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার করোনায় নতুন করে ১৯ জন শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৬, গোবিন্দগঞ্জে ৬, ফুলছড়িতে ৩, সুন্দরগঞ্জে ২ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ২ জন। বরিশালে ৮৪ জন শনাক্ত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া স্বপন বলেন, বুধবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে ১৭৯ জনের মধ্যে ৮৪ জনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে ১৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদিকে শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কচুয়ায় সোনালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা আক্রান্ত ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বাগেরহাটের কচুয়ায় সোনালী ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সরকারী জরুরী সেবা ব্যতীত এ শাখার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তপক্ষ। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কচুয়া শাখার ব্যবস্থাপক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রবীন্দ্র নাথ গাইন বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যশোরে ১০ জন ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০ জন। এদের মধ্যে ৬ করোনা রোগী এবং অপর ৪ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সাতক্ষীরায় ৯ জন ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৮ জন ও ক্লিনিকে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃতদের মধ্যে ৪ জন নারী। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জনের পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ৩৪.০২ ভাগ। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা পজিটিভ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯৭ জন। সিলেটে ৪ জন ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫৬ জনে। একই সময়ে সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে ১২৫ জনের শরীরে। এছাড়া এই চব্বিশ ঘণ্টায় সিলেটে হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন আরও ৮৫ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়। ঝালকাঠিতে ২৪ জন আক্রান্ত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ১ জনের মৃত হয়েছে এবং ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। গত ১৯জুন থেকে ২৪ জুুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ৪ জনের মৃত হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ যাবৎ হঠাৎ করে সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামে সবিতা (৩০)-এর মৃত হয়েছে। এ নিয়ে ঝালকাঠি জেলায় মৃতের সংখ্যা ৩৪ জন হয়েছে। নীলফামারীতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৮ জনের দেহে করোনা শক্ত হয়েছে। নীলফামারীতে করোনা আক্রান্তের শুরু থেকে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্ত। ফরিদপুরে তিনজন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, করোনা শনাক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন মারা গেছে আইসিইউতে এবং একজন করোনা ওয়ার্ডে। মৃত্যু বরণকারী ওই তিন জনের মধ্যে দুজন রাজবাড়ী এবং একজন ফরিদপুরের। আইসিইউ ওয়ার্ডে মারা গেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি গ্রামের সালমা বেগম (২৫) ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মেহেরুন্নেসা বেগম (৮৫)। করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন বাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার আদর্শ গ্রামের মোক্তার ফকির (৩৯)। এছাড়া করোনা সন্দেহে মারা গেছেন মাদারীপুরের টেকেরহাট এলাকার দুলাল সাহা (৬০)। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
×