ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা, বিষয় ॥ বাংলা

প্রকাশিত: ০০:০৩, ২৪ জুন ২০২১

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা, বিষয় ॥ বাংলা

সহকারী শিক্ষক ধোপাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম প্রিয় পরীক্ষার্থী, বাংলা একটি ভাষাভিত্তিক, সাহিত্য সংক্রান্ত বিষয়। তাই বানানের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে, সাথে সাথে ভাষাগত দক্ষতা থাকতে হবে। বাংলা বিষয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০ নম্বর থাকবে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলোর মধ্যে পাঠ্যবইয়ের গদ্যাংশ ও কবিতাংশ থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে মোট (১৫+১০) বা ২৫ নম্বর, পাঠ্যবইয়ের বাইরের কোনো অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশ থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে ২৫ নম্বর ও যুক্তবর্ণ, বিরাম চিহ্ন, এককথায় উত্তর বা ক্রিয়ার চলিতরূপ, বিপরীত শব্দ বা সমার্থক শব্দ, ফরম পূরণ, দরখাস্ত বা চিঠি ও রচনা থেকে মোট ৫০ নম্বর (যোগ্যতাভিত্তিক ও গতানুগতিক উভয়ই)। পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশ থাকবে তোমার জানাশোনা পরিবেশের বিষয়বস্তুর ওপর। প্রশ্ন নং ১, ২, ৩ ও ৪ : প্রশ্নকাঠামো অনুসারে ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্ন থাকবে পাঠ্যবইয়ের ভেতরের অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশ থেকে। এ অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশের আলোকে ১-সঠিক উত্তর , ২-প্রশ্নের উত্তর, ৩-শব্দার্থ, ও ৪-অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশের মূলভাব লিখতে হবে। এখানে প্রশ্নগুলো সাধারণত প্রশ্নে উদ্ধৃত অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশ হতে কিংবা সংশ্লিষ্ট গদ্য বা কবিতা হতে আসতে পারে বিধায় প্রত্যেক গল্প কবিতা সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকতে হবে। প্রশ্ন নং ৫, ৬, ও ৭ : পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদটি যদি এমন হয়- গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। গাছপালা ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের জীবন অচল। বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে আমরা বাঁচি। অন্যদিকে, গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ে। গাছপালা না থাকলে একসময় বাতাসের অক্সিজেন একেবারেই শেষ হয়ে যেত। আর আমরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তাম। গাছপালা আরও একভাবে আমাদের বাঁচতে সাহায্য করে। সেটা হলো, গাছপালা আমাদের নানা রকম খাদ্যের জোগানদার। কেবল পরিবেশের সৌন্দর্য নয়, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় অনুকূল পরিবেশ তৈরিতেও গাছের জুড়ি নেই। যেখানে গাছপালা ও বনভূমি বেশি, সেখানে ভালো বৃষ্টি হয়। এর ফলে ভূমিতে পানির পরিমাণ বাড়ে, চাষাবাদ ও ফসল ভালো হয়। ঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা প্রতিরোধেও গাছপালা সহায়তা করে। গাছপালা না থাকলে পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ। পৃথিবী হয়ে উঠত মরুভূমি। মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। তাই আজ ¯েøাগান উঠেছে ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’। আমরা গাছ লাগাব এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করব। ৫ নম্বর প্রশ্ন : এ ধরনের একটি অনুচ্ছেদের ৫ নম্বর প্রশ্নটির ‘ক’ নম্বর যদি এমন হয়: ক. অনুচ্ছেদটি মূলত কোন বিষয় নিয়ে লেখা? ক. পরিবেশ, খ. গাছপালা, গ. অরণ্য, ঘ. প্রকৃতি। অনুচ্ছেদটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে তুমি খুব সহজেই এই প্রশ্নের উত্তর লিখবে : খ. গাছপালা। কারণ, অনুচ্ছেদটি গাছপালা নিয়ে রচিত। একইভাবে ৫ নম্বর প্রশ্নে দেওয়া ‘সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো’র জন্য প্রদত্ত অনুচ্ছেদ মনোযোগসহ পড়লেই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুমি লিখতে পারবে। ৬ নম্বর প্রশ্ন : অনুচ্ছেদভিত্তিক ৬ নম্বর প্রশ্নে থাকবে পাঁচটি শব্দ এবং শব্দগুলোর অর্থ। অনুচ্ছেদ থেকে নেওয়া প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ অনুধাবন করে তুমি শূন্যস্থান পূরণ করবে। শব্দের অর্থ দিয়ে নয়, ‘মূল শব্দ’ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে যেমন প্রদত্ত শব্দ যদি হয় ‘বন্ধু’ এবং এর অর্থ দেওয়া থাকল ‘সুহৃদ’। শূন্যস্থান পূরণ করতে বলা হলো: ক) গাছপালা আমাদের প্রকৃত---। তুমি উত্তর লিখবে : ক) বন্ধু ৭ নম্বর প্রশ্ন: প্রশ্নের ধারাবাহিকতায় ৭ নম্বর প্রশ্নে থাকবে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ তিনটি যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। যেমন প্রদত্ত অনুচ্ছেদের আলোকে প্রশ্ন হতে পারে ক. গাছপালাকে পরম বন্ধু বলার পাঁচটি কারণ উল্লেখ কর? খ. প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালা কী ভূমিকা পালন করে? গ. গাছপালা না থাকলে কী হতো? আজকের দিনে পরিবেশ রক্ষার ¯েøাগান কী? নির্দেশনা অনুসারে প্রশ্নগুলোর উত্তর যথাযথভাবে লিখতে পারলে ভালো নম্বর পাবে। ৮ নম্বর প্রশ্ন: ৮ নম্বর প্রশ্নটি থাকবে যুক্তবর্ণ-সম্পর্কিত। এখানে পাঁচটি যুক্তবর্ণ দেওয়া থাকবে। তোমাকে বলা হবে: যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি। প্রদত্ত যুক্তবর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ লেখ এবং বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। অথবা যুক্তবর্ণগুলো বিভাজন করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও। যেমন: ‘শ্ন’ যুক্তবর্ণটি যদি পাঁচটি যুক্তবর্ণের একটি হয় এবং প্রশ্ন হয়ে থাকে ওপরে বর্ণিত দ্বিতীয়টি, তাহলে উত্তর লিখতে হবে: শ্ন =শ্+ন , সব প্রশ্নের উত্তর লিখেছি। মনে রাখবে এই প্রশ্নটি যোগ্যতাভিত্তিক। ৯ নম্বর প্রশ্ন: বিরাম চিহ্ন: ‘বিরাম চিহ্ন’ অনুশীলনের জন্য বাছাই করে নিতে পারো পাঠ্যবইয়ের গদ্যাংশের এমন সব অনুচ্ছেদ, যেখানে কমপক্ষে পাঁচটি বিরাম চিহ্ন আছে। সেই সঙ্গে কবিতার মূলভাবগুলোও পড়বে। ১০ নম্বর প্রশ্ন: এককথায় প্রকাশ/ ক্রিয়াপদের চলিত রূপ: প্রশ্নানুসারে ক্রিয়াপদের সঠিক চলতি রূপ লিখতে পারলে পুরো নম্বরই পাবে। এই প্রশ্নটির যথার্থ উত্তর দেওয়ার জন্য পাঠ্যবইয়ে ব্যবহৃত ক্রিয়াপদগুলো বাছাই করে নিতে পারো। মনে রাখতে হবে, এই প্রশ্নটি ‘এককথায় প্রকাশ করো’-এর বিকল্প প্রশ্ন হিসেবে থাকতে পারে। ১১ নম্বর প্রশ্ন: বিপরীত শব্দ বা সমার্থক শব্দ: পাঠ্যবইয়ের ‘পাঠ শিখি’ অংশে দেওয়া বিপরীত শব্দগুলো ভালোভাবে আয়ত্তে থাকলে ও শব্দার্থ পড়লে এবং কিছু প্রচলিত বিপরীত শব্দ ও সমার্থক শব্দ শেখা থাকলে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া সহজ। ১২ নম্বর প্রশ্ন: প্রদত্ত কবিতাংশটুকু পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও: প্রশ্নে পাঠ্যবইযের যেকোনো একটি কবিতা দেওয়া থাকবে। ১ নং প্রশ্নে থাকবে প্রদত্ত কবিতার নাম ও কবির নাম নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর সঠিকভাবে লেখার জন্য ২ নম্বর, ২নং প্রশ্নে কবিতাংশটির মূলভাব লেখার জন্য ৫ নম্বর এবং কবিতাংশভিত্তিক একটি প্রশ্ন সঠিকভাবে লেখার জন্য ৩ নম্বর। ১৩ নম্বর প্রশ্ন: ফরম পূরণ: যেকোনো প্রতিযোগিতায় কিংবা বিষয়ে অংশ নেওয়ার জন্য বা ক্লাব, পাঠাগার, সমবায় সমিতি, শিশুসংগঠন ইত্যাদি সদস্যপদ লাভের জন্য বা কোথাও ভর্তির জন্য তোমার ব্যক্তিগত তথ্যাদির বিবরণমূলক একটি নির্দিষ্ট ফরমের নমুনা প্রশ্ন দেওয়া থাকবে, যা পরীক্ষার খাতায় তুলে পূরণ করতে হবে। অনেক সময় তথ্যগুলো দেয়া থাকে সে ক্ষেত্রে শুধু প্রশ্নে প্রদত্ত তথ্যগুলো দিয়ে নমুনা ফরম পূরণ করবে। ১৪ নম্বর প্রশ্ন: দরখাস্ত বা চিঠি লেখা : এই প্রশ্নটি যোগ্যতাভিত্তিক। দরখাস্ত অথবা চিঠি যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন থকবে, কোন বিকল্প থাকবে না। দরখাস্ত বা চিঠি নিয়ম মেনে লিখতে পারলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। ১৫ নম্বর প্রশ্ন: এবারের রচনা লিখন প্রশ্নটিও যোগ্যতাভিত্তিক। পাঠ্যবই-সম্পৃক্ত বিষয়ের আলোকে অথবা নিকট পরিবেশের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে রচনা লেখার জন্য প্রশ্নে দেওয়া উপশিরোনাম অনুসরণ করবে। ২০০ শব্দের মধ্যে রচনাটি লিখে শেষ করবে। অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখবে না। রচনা লেখায় প্রশ্নে প্রদত্ত উপশিরোনাম ছাড়া তুমি প্রাসঙ্গিক উপশিরোনাম ব্যবহার করতে পার। তবে সব মিলিয়ে ২০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে তাই বলে একেবারে কম শব্দে লিখলেও হবে না। তোমাদের সাফল্য কামনায়।
×