নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ স্ত্রী হত্যার দীর্ঘ ২৩ বছর পর পুলিশ কুড়িগ্রাম জেলার দূর্গম ভারত সীমান্ত গ্রাম হতে আটক করেছে। তাঁকে ২২ জুন সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
লারমনিরহাট জেলা পুলিশের ওয়েব সাইড হতে প্রাপ্ত খবওে জানা যায়, স্ত্রী হত্যার আসামি মোঃ ফজর আলী(৬৫), পিতা মৃত্যু হোসেন আলী, গ্রাম দক্ষিণ গোবধা, থানাঃ আদিতমারী, জেলাঃ লালমনিরহাট। পারিবারিক কলহের জের ধওে প্রায় ২৩ বছর আগে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। স্ত্রীকে হত্যার করার ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিয়ে অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। কিন্তু জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত তৎকালীন (২৮/০৭/১৯৯৭)এসআই/ গাউছুল আজম এবং এসআই/ আঃ সাত্তার কথিত আত্মহত্যার ঘটনা সরজমিনে তদন্ত করে।
প্রাথমিক প্রমাণ মিলে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকান্ড। তাঁকে শ্বাসরোধ কওে হত্যা কওে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়ে ছিল। ফলে বর্নিত আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৩০২ ধারার অপরাধে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামি ফজর আলী তার স্ত্রীকে হত্যার করেছে সন্দেহাতীত ভাবে সাক্ষ্য- প্রমানে প্রমাণিত হয়। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত যাবজ্জীবন কারান্ড প্রদান করে। তখন ফজর আলী (৩৩) বছরের টগবগে যুবক।
স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। ভারতে নাগরিক হয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করবে। কিন্তু ভারত দীর্ঘতিন বসবাস করেও এস সময় ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়। ফলে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী থানার ভারত সীমান্ত ঘেষা দূর্গম গ্রামে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে কাটিয়ে দেয় জীবনের প্রায় ২৩ টি বছর। নতুন করে আবার বিয়ে করে। সেই ঘরে সন্তান রয়েছে।
বিধিবাম আদিতমারী থানার সেই পুলিশ অফিসার আতাউল গনি বৃদ্ধ বয়সে আসামী ফরজ আলীকে সনাক্ত কওে ফেলেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা কে জানান হয়। তার দিক নির্দেশনায় ২০ জুন গভীর রাতে সফল অভিযানের মাধ্যমে আসামী গ্রেফতার হয়। ভিষয়টি শতভাগ নিশ্চত হতে তদন্ত শুরু করে। পরে তাঁকে জেলখানায় সাজা ভোগে পাঠানো হয়।