ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফের তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, চীনের নিন্দা

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ২৩ জুন ২০২১

ফের তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, চীনের নিন্দা

অনলাইন ডেস্ক ॥ চীন ও তাইওয়ানের মধ্যবর্তী স্পর্শকাতর জলপথ তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে ফের যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ পার হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। ওই অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় ‘ঝুঁকি সৃষ্টিকারী’ দেশ বলে অভিহিত করেছে তারা, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সপ্তম নৌবহর জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্টিস উইলবার মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাইওয়ান প্রণালী পার হয়েছে। একে ‘নিয়মিত যাত্রা’ বলে উল্লেখ করে এর মাধ্যমে ভারত মহাসাগর ও সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ‘অবাধ ও উন্মুক্ত’ রাখার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শিত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের নিন্দা করা চীনের গণমুক্তি ফৌজের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছে, তাদের বাহিনীগুলো প্রণালীটি দিয়ে যাওয়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজটিকে পর্যবেক্ষণ করেছে ও সতর্ক করেছে। “যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষটি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই একই পুরনো খেলা খেলছে এবং তাইওয়ান প্রণালীতে বিঘ্ন ও ঝামেলা সৃষ্টি করছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি সৃষ্টিকারী এটি পুরোপুরি তা তুলে ধরছে আর আমরা দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করি,” বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে তারা। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজটি প্রণালীটি ধরে উত্তরদিক মুখে গেছে আর সে সময় ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল’। এক মাস আগেও যুক্তরাষ্ট্রের এই যুদ্ধজাহাজটি তাইওয়ান প্রণালী পার হয়েছিল। তখনও চীন শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ‘হুমকীর মুখে ফেলার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছিল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তাইওয়ান জানিয়েছিল, চীনের বিমান বাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম বিমানসহ ২৮টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের ‘বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ জোনে’ প্রবেশ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী প্রতিমাসে তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। অধিকাংশ দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেরও তাইওয়ানের সঙ্গে প্রথাগত কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই কিন্তু দ্বীপটির সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী তারা। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অচ্ছেদ্য অংশ বলে বিবেচনা করে চীন।
×