ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনার সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৩ জুন ২০২১

খুলনার সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় সরকারী ও বেসরকারী তিন করোনা হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আওতায় ডেডিকেটেড ১৩০ শয্যার হাসপাতালে ছয়জন. খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন এবং নগরীর বেসরকারী গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ছয় জন মারা গেছে। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে মৃত্যুবরণকারী ১৩ জনের মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার আটজন। ১৩০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় জন রোগী মারা গেছেন। মৃত্যুবরণকারীদের দুইজন খুলনা মহানগরীর, একজন দিঘলিয়া উপজেলার, একজন নড়াইল, একজন বাগেরহাট এবং একজন যশোর জেলার অফিবাসী। জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, সেখানে করোনায় আক্রান্ত খুলনা মহানগরীর এক রোগী মারা গেছেন। খুলনা মহানরীতে বেসরকারী পর্যায়ে একমাত্র গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় ছয় জনের জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের চার জন খুলনা মহানগরীর, একজন যশোর ও একজন বাগেরহাটের। এ ছাড়া খুলনা মেডিক্যালের করোনা হাসপাতালে ফোকাল পার্সন জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৩০ শয্যার করোনা ইউনিটে ১৫৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে রেড জোনে ৯৮ জন, ইয়লো জোনে ২২ জন, এইচডিইউতে ১৬ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন। এ ছাড়া জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ২২ জন এবং বেসরকারী গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৮১ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। খুলনা সিভিল সার্জন দফতরের কর্মকর্ত ডাঃ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলার মোট আট জন করোনা রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনজন, গাজী মেডিক্যালে চারচন এবং জেনারেল হাসপাতালে একজন মারা যান। তিনি জানন, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলার মোট ৭৭১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন ৩০৫ জন। শানাক্তের হার ৩৯ শতাংশ।
×