ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিপিএল সুপার লীগে আবাহনীর টানা দুই জয়

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২২ জুন ২০২১

ডিপিএল সুপার লীগে আবাহনীর টানা দুই জয়

মোঃ মামুন রশীদ ॥ বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল) টি২০ সুপার লীগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। সোমবার অবশ্য গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াইয়ে ১ উইকেটের জয় পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে হেরেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সাইফ হাসানের ঝড়ো অর্ধশতকে তাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লীগের প্রথম ম্যাচ শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জিতেছিল শেখ জামাল। টস হেরে আগে ব্যাট করে শেখ জামাল নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১২৩ রান তোলে ৯ উইকেট হারিয়ে। মূলত ১১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ার পর আর রানের গতি বাড়াতে পারেনি দলটি। দলীয় রান শতক পেরিয়েছে মূলত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং তাÐবে। তিনি ২৪ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় করেন ৪২ রান। এরপর ফিল্ডিংয়ে বাধা প্রদানের আইনে আউট হতে হয় তাকে। ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ননস্ট্রাইকে থাকা সোহান দ্রæত রান নিতে গিয়ে পা দিয়ে বল আটকে দিলে বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি বলটি ধরতে পারেননি। এরপর ফিল্ডারদের আবেদনে থার্ড আম্পায়ারের সহায়তায় আউট দেন আম্পায়াররা। রেজাউর রহমান ৩টি ও শফিকুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ৮ ওভারেই ৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় দোলেশ্বর। ইমরান উজ্জামান ২৪ বলে ২ চারে ২০ রানে সাজঘরে ফিরলে জুটি ভাঙ্গে। তবে সাইফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের গতি ঠিক থাকে দোলেশ্বরের। তিনি ৩৩ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৬০ রানে সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ১৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় দোলেশ্বর। মোহাম্মদ আশরাফুল ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ২টি করে উইকেট নেন। দুপুরে গাজী গ্রæপ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আবাহনী পেসারদের দাপটে। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৩০ রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। সৌম্য সরকার ২৪ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ৩০, জাকির হাসান ২৫ বলে ৪ চারে ২৭ ও সাতে নেমে মুমিনুল হক ১২ বলে ৫ চারে ২৫ রান করেন। আবাহনীর হয়ে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪টি, মেহেদী হাসান রানা ৩টি ও তানজিম হাসান সাকিব ২টি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে ধারাবাহিক পারফর্মার মুনিম শাহরিয়ারের (০) উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় আবাহনী। তবে গাজীর ফিল্ডাররা লিটন দাসের দেয়া সহজ ৩টি ক্যাচ মিস করায় বিপদ বাড়েনি আবাহনীর। তবু দলীয় ২৯ রানে তিনি আউট হয়ে যান ১৭ বলে ৩ চারে ২২ রান করে। এরপর আবাহনী ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার মুখে একাই লড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৮তম ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রæব (১৮ বলে ১৪) ও সাইফউদ্দিনকে (০) শিকার করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে আবাহনী। পরের ওভারে আবার ৪৯ বলে ৪ চার, ২ ছক্কায় ৫৮ রান করা শান্তও বোল্ড হয়ে যান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর পেসে। তখনও আবাহনীর জিততে প্রয়োজন ছিল ৭ বলে ১৪ রানের। এরপরও গাজী হেরেছে মূলত শেষ ওভারে মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে। মুগ্ধর করা শেষ বলে মেহেদী রানা চার পেয়ে যান গাজীর ফিল্ডারদের বদান্যতায়। ফলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৯ রানের। নাসুম আহমেদের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদী রানার এক অপ্রত্যাশিত চারে জয়ের আশা জাগে আবাহনীর। কিন্তু পরের বলেই রান আউট হন তিনি। ৩ বলে প্রয়োজনীয় ৩ রান ২ বল থেকেই তুলে নেন আরাফাত সানি ও তানজিম সাকিব। ১ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তুলে রুদ্ধশ্বাস জয়টি পায় আবাহনী।
×