ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চারটি কালভার্ট ভেঙ্গে সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ২০ জুন ২০২১

চারটি কালভার্ট ভেঙ্গে সড়কটি এখন মরণ ফাঁদ

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ উপজেলার মুশুলী-কালিগঞ্জ সড়কের চারটি কালভার্ট ভেঙ্গে ও বিভিন্ন জায়গায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কের আশপাশে প্রায় পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধীক বাসিন্দা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সংক্লিষ্ট কর্তপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পূর্ব-উত্তর জনপদের প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র কালিগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক এটি। এ বাজারে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের একমাত্র শাখা। উপজেলার সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন উত্তোলন করতে ওই সড়ক দিয়ে কালিগঞ্জ বাজারে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জেনেও সংক্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফরিদাকান্দা গ্রামে বাসিন্দা খালের রহমান মিল্টন বলেন, সড়কটির ফরিদাকান্দা গ্রামে দুটি কালভার্টের ইট-সুড়কির ঢালাই উঠে গিয়ে সেখানে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর মুশুলী অংশের দুটি কালভার্ট সহ তিন কিলোমিটার জুড়ে ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মুশুলী কলেজের অফিস সহকারি সিরাজুল ইসলাম ককুল জানান, সড়কটির অবস্থা এখন ভয়াবহ। কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। এই সড়কে ইজিবাইক চালায় এমন ১০/১২ জন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দূর্ভোগ পোহালেও কোন জনপ্রতিনিধি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে সড়কটিতে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহি ইজিবাইক এবং মাইক্রোবাস আটকে থাকতে দেখা যায়। আর প্রায় সময় ইজিবাইক উল্টে যাত্রীরা আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু সালেক জানায়, সড়কটি আমাদের যাতায়াত ও পন্য পরিবহণের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে এখানকার উৎপদিত কৃষি ও মৎস্য পণ্য পরিবহণে কৃষককে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এই বিষয়ে রাজগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, ভাঙ্গা সড়ক ও কালভার্টগুলো সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশল অফিসে জানানো হয়েছে। নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আলামিন সরকার বলেন, ‘এই সড়কটির বিষয়ে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। তিনি আমাকে সংস্কারের ইস্টিমেট দিতে বলেছেন। দুইটা কালভার্ট অনেক আগেই ইস্টিমেট করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন নতুন করে কোন কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হলে সংস্কারের সাথে সেগুলো করা হবে।’
×