জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ হেফাজতে ইসলামকে ঠেকাতে দলের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর চলাকালে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রভূমি হাটহাজারী মাদ্রাসা ঘিরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে চারজন প্রাণ হারায়। মূল সড়ক বন্ধ করে কয়েকদিন অবস্থান নেয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। খবর বিডিনিউজের।
এর প্রায় তিন মাস পর শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। রাত সাড়ে নয়টার দিকে সভা শেষ হয়। সভায় উপস্থিত চট্টগ্রামের এক নেতা বলেন, হাটহাজারীতে হেফাজতের উৎপাতের কারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে স্থানীয়ভাবে অনৈক্য মিটিয়ে সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনকে গুছিয়ে নিতে জোর দেয়া হয়েছে। থানা ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোর মধ্যে কিছু অনেক পুরনো। সেগুলো দ্রুত পুনর্গঠন করতে বলেছেন। হাটহাজারীতে দলীয় নেতাদের মধ্যে যে বিরোধ-দূরত্ব আছে তা মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। হাটহাজারী ও পাশের উপজেলা ফটিকছড়িতে গত কয়েক মেয়াদে দলীয় সাংসদের পরিবর্তে জোটের শরিক দলের নেতারা সাংসদ হওয়া নিয়েও নিজেদের হতাশার কথা ব্যক্ত করেন স্থানীয় নেতারা। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় দলীয় নেতামন্ত্রীদের হাটাহাজারী মাদ্রাসায় যাওয়া, সেখানে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত ও হেফাজত নেতাদের প্রশংসা করা এসব নিয়েও সমালোচনা করেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা। সভার বিষয়ে রাতে টেলিফোনে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে, কিছু সমস্যা আছে তা জেনে সমাধানের লক্ষ্যে বসেছিলাম। ওইখানে (হাটহাজারীতে) দীর্ঘদিন ধরে দলীয় এমপি নেই। জোটের এমপি। এটা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও মনোকষ্ট আছে। এটা তারা বলেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: