ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে মৎস্য বিভাগে ৩৮ হেক্টর পুকুর-জলাশয় পুনঃখনন

প্রকাশিত: ১৬:১০, ১৯ জুন ২০২১

কুড়িগ্রামে মৎস্য বিভাগে ৩৮ হেক্টর পুকুর-জলাশয় পুনঃখনন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে মৎস্য বিভাগের আওতায় ৩৮ হেক্টর পুকুর-জলাশয়, বিল নার্সারী এবং বরোপিট পুনঃখনন সম্পন্ন। আসন্ন বন্যায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি না হলে বাড়তি ৩’শ মে.টন মাছ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জেলার মাছের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। কর্মসংস্থান মিলবে ৫ শতাধিক বেকার মানুষের। কুড়িগ্রাম মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলার ২৬৮৩৪টি জলাশয়, ২০২টি বিল এবং ১২১ হেক্টর আয়তনের বরোপিট রয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থ বছরের ১লা মার্চ ২০২১ইং উদ্বোধন হয় জেলার ৪১টি প্রকল্পের ৩৮.৩ হেক্টর বিল নার্সারী, জলাশয় এবং বরোপিট পুনঃখনন কাজ। ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এসব প্রকল্পের কাজ। ৪১টি প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ১০ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। আসন্ন বন্যায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি না হলে এসব প্রকল্পে ৩০০ মে.টন মাছ উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ চার কোটি টাকা। এ ব্যাপারে কথা হলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, বন্যায় খননকৃত প্রকল্প রক্ষায় ইমারজেন্সি অর্থ বরাদ্দ না থাকায় প্রতি বছর এসব প্রকল্প এলাকা ভেঙ্গে যায়। এতে মৎস্য চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া কুড়িগ্রামকে মাছ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে মালিকানা জটিলতা, ইমারজেন্সি ফান্ড এবং স্থানভেদে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে বক্স কালভার্ট প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, এ বছর ইতোমধ্যে আমরা ৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় ৪১টি প্রকল্পের ৩৮.৩ হেক্টর জলাশয়, বিল নার্সারী এবং বরোপিট পুনঃখনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এসব প্রকল্পে চলতি বছর ৩০০ মে.টন মাছ উৎপাদন সম্ভব বলে তিনি জানান। প্রকল্প পরিচালক আলীমুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সারাদেশে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং এসব প্রকল্প এলাকায় মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করছি। কুড়িগ্রামে প্রচুর জলাশয়, বিল রয়েছে। এসব পরিত্যাক্ত জলাশয়ে বিপুল মাছ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রামের কথা বিবেচনা করে আমরা এ বছর কুড়িগ্রামে সর্বাধিক অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। আশা করি আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
×