ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টিকা নিয়ে সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পার থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে

‘আবার ব্যাপকভাবে জনগণকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে’

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ১৯ জুন ২০২১

‘আবার ব্যাপকভাবে জনগণকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে’

অনলাইন ডেস্ক ॥ টিকা আসছে আবার ব্যাপকভাবে জনগণকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি বলেন, টিকা নিয়ে সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পার থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । আজ শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মওলানা আকরাম খাঁ হলে ‘সময়ের সাহসী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় করোনা মোকাবিলা আমরা অনেক ভালোভাবে ও সক্ষমভাবে করেছি। আপনারা ভারতের দিকে তাকান, পাকিস্তানের দিকে তাকান, সেই তুলনায় আমরা ভালো করেছি। অনেক দেশ যখন টিকা পায়নি, সেই সময় থেকে আমরা টিকা দেওয়া শুরু করেছি। মাঝখানে ভারতে করোনা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ার কারণে সেরাম থেকে টিকা পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকার অনেক আগে থেকেই অন্যান্য দেশ থেকেই টিকা আনার চেষ্টা করছিল। এজন্য টিকা আনা সম্ভব হয়েছে। আজকে চীন থেকে, আমেরিকা থেকে টিকা আসছে এবং রাশিয়া থেকেও আসবে। এমনকি আমরা নিজেরাও টিকা উৎপাদনের চেষ্টা করছি। টিকা যখন প্রথম দেশে আনা হলো তখন বিএনপি বিরোধিতা করেছে। এই টিকা যেন মানুষ না নেন। বিএনপি থেকে সিনিয়র নেতারাও অপপ্রচার চালিয়েছেন। আবার এখন গোপনে তারা টিকা নিচ্ছেন। এখন তারা টিকা নিয়ে প্রকাশে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে, টিকা নিয়ে স্বস্তিবোধ করছি। তবে এখন টিকা নিয়ে সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পার থেকে ষড়যন্ত্র করছে এবং বৈদেশিক শাখা থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বাংলাদেশ যেন টিকা না পায়। কোন ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। টিকা আসছে আবার ব্যাপকভাবে জনগণকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন দেশে না আসেন এজন্য অনেক খবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি অটল ছিলেন। যেদিন তিনি দেশে ফিরে আসেন লাখ লাখ মানুষ তাকে গ্রহণ করা জন্য সমবেত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ৪০ বছরের পথ চলার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রকে উপড়ে ফেলে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। এই পথ চলায় তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি সময়ের সাহসী সন্তান শুধু নয়, মৃত্যুকে উপেক্ষা করে যেকোনো ঝুঁকি নিতে পারেন। যখন প্রচণ্ড ষড়যন্ত্র হয়, প্রচণ্ড দুর্যোগ হয় তখন তিনি ধীরস্থির থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেকারণে তার প্রতিপক্ষ আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের মাথা পিছু আয় পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। সম্প্রতি ভারতকেও ছাড়িয়েছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বলরাম পোর্দ্দার, সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু প্রমুখ।
×