ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে যেতে পেরে জেমি খুশি

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৮ জুন ২০২১

এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে যেতে পেরে জেমি খুশি

রুমেল খান ॥ বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ করে কাতার থেকে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় বিমানযোগে দোহা থেকে ঢাকা পৌঁছান জামাল ভুঁইয়ারা। এবারের বাছাইপর্বে আগে ৫টি ম্যাচ খেলে পরে নিরপেক্ষ ভেন্যু কাতারে গিয়ে বাকি ৩টি ম্যাচ খেলে লাল-সবুজবাহিনী। সেখানে ১টিতে ড্র ও ২টিতে হেরেছে জেমি ডের শিষ্যরা। ই-গ্রæপে ৫ দলের মধ্যে সবার তলানিতে থেকে খেলা শেষ করলেও টার্গেট পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ দল। সেটি হচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের চ‚ড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২৪ দল নিয়ে বাছাইয়ের চ‚ড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি গ্রæপে খেলবে ৪টি করে দল। হোম এবং এ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে খেলা। সব ম্যাচই হবে আগামী বছর। বাংলাদেশের ম্যাচগুলো হবে ১ ফেব্রæয়ারি, ২৪ ও ২৯ মার্চ, ১৪ জুন, ২২ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর। প্রতিপক্ষ এখনও অজানা। দেশে ফিরে বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। তাই আমি দারুণ খুশি। ছেলেরা প্রত্যেকটি ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন। আমি নেপালে সবাইকে খেলার সুযোগ দিয়েছিলাম। এতে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। সবাইকে খেলার সুযোগ দেয়ার কারণেই আজকে কোয়ালিফাই করার ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে। জেমি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের রক্ষণভাগ ছিল দারুণ সংগঠিত। বাছাইয়ে অনেক দল ৮ ম্যাচে ৩৫ থেকে ৪০ গোল খেয়েছে। আমরা গোল হজম করেছি ১৯টি। আর একটা বিষয় আমরা কিন্তু ৮ ম্যাচের ৭টিই খেলেছি বিদেশের মাটিতে। এখন কেবল একটা লক্ষ্য পূরণ হলো। এ মুহূর্তে ওটা নিয়েই আমি খুশি। বাকিসব পরে।’ ইংরেজ কোচ জেমি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সবগুলো ম্যাচে ছেলেরা খুবই ভাল পারফর্ম করেছে এবং এই ম্যাচগুলো থেকে অনেক কিছু শিখেছে। প্রতিপক্ষের মাঠে ও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলা দলের জন্য সহায়ক নয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের মানের পার্থক্যটা যে খুব বেশি, বাছাই মূলত সেটাই দেখাল। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের কাঠামোর পরিবর্তন না করলে এই ব্যবধান কখনও ঘোচানো যাবে না।’ লক্ষ্যপূরণ হওয়ায় বিমানবন্দরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ‘আসলে আমাদের টার্গেট ছিল এশিয়ান কাপের মূলপর্বের বাছাইয়ে কোয়ালিফাই করার। এই টার্গেট এখন আমাদের পূরণ হয়েছে। তাই সামনে আমরা আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাব। কাতারে গিয়ে আমরা আফগানিস্তান, ইন্ডিয়া এবং ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সবাই নিজেদের সেরাটা দেয়ারই চেষ্টা করেছে। ইন্ডিয়ার কিরুদ্ধে অমরা ভালমতো ফাইট দিয়ে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত কোন গোল হজম করিনি। শেষের দিকে আমাদের কিছু মিসটেমের কারণে আমরা দুটো গোল রিসিভ করি। এসব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই সামনের ম্যাচগুলোতে কাজে লাগাব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলার জিকো বলেন, ‘যেহেতু অনেকদিন লীগ বন্ধ ছিল, সামনেই আবারও লীগ শুরু হবে। কিছু কম্পিটিটিভ ম্যাচ পাব। তো, এগুলো নিয়েই আমরা ভালমতো যদি ফাইট দিতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও ভাল হবে।’ কাতারে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ভারতের কাছে ২-০ গোলে ও ওমানের কাছে ৩-০ গোলে হারে বাংলাদেশ দল।
×