সংবাদদাতা, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটের অদূরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে অল্পদিনেই পরিচিত পাওয়া ইলিশ মাছের আদলে নির্মিত ‘প্রজেক্ট হিলসা’ রেস্তোরাঁ। স্থাপনা নকশার কারণে রেস্তোরাটি আলোচনায় থাকলেও খাদ্য মূল্য ও সেবার মান নিয়ে সমালোচনা-অভিযোগ রয়েছে। খাবারের মানের চেয়ে দাম বেশি রাখা আর সার্ভিস চার্জ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে রয়েছে অসন্তোষ।
১৬জুন বুধবার দুপুরে প্রজেক্ট হিলসায় অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে রেস্তোরাটির বাবুর্চি ও কর্মচারীদের টয়লেটের পর সাবান ব্যবহার না করার প্রমাণসহ বেশকিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে ভোক্তা অধিকার সূত্র জানিয়েছে।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ জানান, ‘অভিযানে রেস্তোরাটিতে অতিথিদের টয়লেটে সাবানের ব্যবস্থা থাকলেও বাবুর্চি ও স্টাফদের টয়লেটে কোনো সাবান পাওয়া যায়নি।
টয়লেটের পর বাবুচিরা সাবান ব্যবহার করছিলেন না। শুধু পানি দিয়েই হাত পরিষ্কার করছিলেন। কিচেন পরিষ্কার থাকলেও ফ্রিজে কাঁচামাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবারও মজুত রাখা হয়েছিল। যা ঠিক নয়।’
তিনি আরও জানান, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন বিপুল পরিমাণের সস ও নুডলস পাওয়া গেছে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগবে। এক-দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না করার মতো খাবার মজুত ছিল।
অর্থাৎ এসব খাবারের মধ্যে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন সস ও নুডলস ছিল। শেষে তিনি আরও জানান, রেস্তোরাটি অল্প কিছু দিন আগে চালু হয়েছে তারা আইনকানুন সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। তাদেরকে নিয়ম-কানুন জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
