ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

......অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন

স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৭ জুন ২০২১

স্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে

সাক্ষাতকার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ইতিহাসে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনই প্রথম সদস্য, যিনি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোনীত হয়েছেন। তিনি একজন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির পরিচালক হিসেবে। ইউজিসির সদস্য হিসেবে তার দায়িত্ব লাভের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির সময়ে কথা হয়েছে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক, আইসিটিতে বাংলাদেশের ভবিষ্যত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উচ্চশিক্ষার বর্তমান অবস্থা, করোনাকালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্কট ও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ১৫ শতাংশ করারোপ ইত্যাদি নিয়ে। জনকণ্ঠ- ইউজিসিতে আপনার দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর হলো। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন কী? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- বাংলাদেশের জন্য ২০২১ একটি বিশেষ বছর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ পালিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চশিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছেন বলেই ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির ১০ নম্বর নির্দেশনার আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই পথপরিক্রমায় ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বঙ্গবন্ধু মূলত উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার সূচনা ঘটিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন নিজেদের শিক্ষা-গবেষণার পরিধি ও মান বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কার্যকরভাবে কাজ করতে হবে। মেড ইন বাংলাদেশ ধারণাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গবেষণা দিয়ে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। ইউজিসি ২০৩০ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করেছে। গবেষণায় সন্তুষ্টির অবকাশ নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্র যেমন, আইসিসিটি-কৃষিসহ বিশেষায়িত খাতে গবেষণাকে আরও উন্নত করতে হবে। করোনাকালীন সময়েও গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ইউজিসির বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের নেতৃত্বে আমরা ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতার মঞ্চ তৈরি করেছি। গবেষণা সংখ্যা ও বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে। গবেষণায় অনৈতিক প্র্যাক্টিস বন্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্লেগারিজম সফটওয়্যার প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কালে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জনকণ্ঠ- বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিবিদ হিসেবে আপনি দীর্ঘদিন কাজ করছেন। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আপনি শিক্ষা-গবেষণার কাজে দীর্ঘসময় ব্যয় করেছেন। আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সম্ভাবনা ও গন্তব্য সম্পর্কে বলুন। অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- উন্নয়ন অগ্রগতির কথা বিবেচনা করলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল। হেনরি কিসিঞ্জারের কথিত তলাবিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অনেক দেশকে আর্থিক-মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে। ২০৪১ সালের ভিশন মাথায় রেখে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। আকাশ আমাদের সীমানা বা স্কাই ইজ আওয়ার লিমিট। উন্নত জীবনযাপন করার জন্য গবেষণার বিকল্প অন্য কিছু নেই। মনে রাখতে হবে, অনুকরণ নয়, উদ্ভাবনই আমাদের শক্তি। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষিতে আমরা সাফল্য দেখিয়েছি। মেরিটাইম ও বøু-ইকোনমিতেও আমাদের সাফল্য অপেক্ষা করছে। মহাকাশে স্যাটেলাইট নিয়ে গবেষণা চলছে। পরিবেশ, মানবসত্তা ও মূল্যবোধ নিয়ে কাজ চলছে। জনসংখ্যার ঘনত্বের এই দেশে গবেষণা করেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সংগ্রামের শক্তি যোগাতে হবে আমাদের। গবেষণার বিকল্প নেই। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের গন্তব্য হচ্ছে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের আসনে আসীন হওয়া। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন। গবেষণার মাধ্যমে আমরা আরও ১০০ বছরের উন্নতির সুবর্ণরেখা গড়ে তুলব। পৃথিবী থেকে মহাকাশে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী হবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশ্বজুড়ে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে। জনকণ্ঠ- ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নযাত্রা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবু ইউজিসিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিস এখনও অটোমেশনের আওতায় আসেনি। একজন প্রযুক্তিবিদ হিসেবে অফিসের কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনে আপনার পদক্ষেপ কী? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন অনিবার্য বাস্তবতা। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রশংসা করছেন। একথা ঠিক যে, আমাদের অনেক অফিস এখনও অটোমেশনের আওতায় আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যে নিজস্ব পরিসরে কাজ করে চলেছে। করোনার অতিমারীর প্রাদুর্ভাব বাড়লে বিনামূল্যে ‘জুম’-এর মাধ্যমে ক্লাস চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনাকালীন পরিস্থিতি পার হয়ে মানসিক ও অর্থনৈতিক প্রতিক‚লতা ডিঙ্গিয়ে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম গতিশীল রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসবে। প্লেগারিজম পরীক্ষা করা, অনলাইনে সনদপত্র যাচাইসহ বহুবিধ পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করছি, যা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য সহায়ক হবে। জনকণ্ঠ- আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমিয়ার অর্থপূর্ণ সম্পর্ক কতদূর এগিয়েছে? এই সম্পর্ক জোরদার কেন গুরুত্বপূর্ণ? কীভাবে তা আরও জোরদার হতে পারে? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- গবেষণা ও লেখাপড়া প্রয়োগ করার বিষয়। আমাদের লেখাপড়া হতে হবে ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড। সেটা ওষুধ প্রযুক্তি হতে পারে, বায়োমেডিকেল প্রকৌশল হতে পারে, পরিবেশ বিজ্ঞান হতে পারে, সেতু ও সড়ক-মহাসড়ক নিয়ে হতে পারে। ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা কাজ করবে, সেখানকার সমস্যাগুলো নিয়ে তারা গবেষণা করে সমাধান বের করবে। বাংলাদেশের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আমরা আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে এক বা একাধিক কোলাবরেশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। শুধু স্থানীয় কোলাবরেশন নয়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কথাও আমরা ভাবছি। বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্ত হতে হবে। এই কোলাবরেশন জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। জনকণ্ঠ- করোনাকালে উচ্চশিক্ষায় একটি ধকল এসেছে। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ঢিমেতালে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশেষত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দূরশিক্ষণ সেভাবে কার্যকর করা যায়নি। কীভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- করোনাকালীন সময়ে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় এগিয়ে চলেছি। যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি সামনের দিনে পুষিয়ে নিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। ডিভাইস কেনার জন্য ৮০০০ টাকা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি যেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কমমূল্যে ডাটা সরবরাহ করা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়বে। হাইব্রিড লার্নিং ও বেøন্ডেড লার্নিং নিয়েও কাজ করছি আমরা। জনকণ্ঠ- সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫০টিরও বেশি। বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্পন্ন শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতি সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে। শিক্ষকরা রাজনীতি করতে পারেন তবে তা যেন একটি মান বজায় রেখে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। বিষয়গুলো আমরা দ্রæত কাটিয়ে উঠতে পারব বলে আশা করি। শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে একটি অভিন্ন নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে আমরা তৈরি করেছি। এটি ন্যূনতম একটি নীতিমালা। কোন বিশ^বিদ্যালয় চাইলে আরও ভাল প্রার্থীকে নিতে পারে। আমরা চাই সবচেয়ে ভাল এবং তরুণ মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসুক। এই লক্ষ্যে অন্তত এক শ’টিরও বেশি বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনকণ্ঠ- বাংলাদেশে অনেক বিশেষায়িত বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গড়ে উঠেছে আইটি পার্ক। বিশ^মঞ্চে আইসিটি শিক্ষিত বাংলাদেশী তরুণদের অবস্থান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? বৈশি^ক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে আমাদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- বিগত দশ বছরে আইসিটি খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কালে বাংলাদেশ হবে শিক্ষা-গবেষণা ও প্রযুক্তির ডেস্টিনেশন। ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিতে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে আমাদের আইসিটি সেক্টরের মেধাবী তরুণরা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও হাইটেক পার্কগুলোতে আইসিটি মন্ত্রণালয় নানাভাবে যুক্ত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দক্ষ আইসিটি টেকনোলজিস্ট তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা দেশের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে বড় অবদান রাখতে পারে। জনকণ্ঠ- বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ে আপনি অধ্যাপনা করেছেন। বাংলাদেশের বেসরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্কট ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বলুন। অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- দেশের কল্যাণে, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা শিক্ষকতা ও গবেষণা করছি। আমি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছি। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। দেশ বিনির্মাণে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনেক। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কটকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করার কিছু নেই। সমস্যা বা সঙ্কট থাকলে তা সরকারী-বেসরকারী উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কমবেশি রয়েছে। সরকারী-বেসরকারী উভয় বিশ^বিদ্যালয়ে ভাল ভাল শিক্ষক-গবেষেক রয়েছেন। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তবে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। জনকণ্ঠ- নতুন অর্থবছরের জন্য বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ে ১৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিষয়টি অংশীজনের মাঝে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নীতিনির্ধারণী অবস্থানে থেকে বিষয়টিকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন। অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- ১৫ শতাংশ প্রস্তাবের বিষয়টি যদি সরকার বিবেচনা করে, তবে বেসরকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে একটি চাপ কমে যাবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ সবচেয়ে ভাল বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সরকারী-বেসরকারী উভয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান। আমরা যেন আমাদের ভবিষ্যত সুন্দর করে গড়ে তুলতে পারি, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনকণ্ঠ : আপনার গ্রন্থে ও লেখায় অদম্য বাংলাদেশ শব্দযুগল প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অদম্য বাংলাদেশের রূপরেখা সম্পর্কে বলুন? অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- আমি ব্যক্তিগতভাবে অদম্য বাংলাদেশকেই ধারণ করি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাই অদম্য বাংলাদেশ। দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপরে আস্থা রেখেছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ আছি বলেই দেশ এগিয়ে চলেছে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগারো লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার নজির পৃথিবীতে নেই। বাংলাদেশ এখন অদম্য নেতৃত্বের দেশ। করোনাকালেও অর্থনীতির হাল শক্তভাবে ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। করোনা ভ্যাকসিন সবার জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত হয়েছে। করোনাকালে উন্নত বিশ্বেও নেতৃত্বের অভাবে দুর্যোগ নেমে এসেছে, অথচ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। শত দুর্যোগের মাঝেও এই মাথা উঁচু করে থাকা বাংলাদেশই অদম্য বাংলাদেশ। জনকণ্ঠ : তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন। অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন- নিজের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করুন। পরিশ্রম, অধ্যবসায়, মনোযোগ ও একাগ্রতা সহকারে কাজ করতে হবে। নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য-কৃষ্টি ধারণ করুন। আস্থা রাখুন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিশন এবং রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে পারবেন। নেতৃত্বের গুণ অর্জন করুন। উদ্ভাবনী পথে ক্রিটিক্যালি ভাবুন। সুস্থ ও সুন্দর থেকে জীবনকে উপভোগ্য করে তুলুন। বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রগতিশীল চিন্তা-ভাবনায় নিজেকে উৎসাহ দিন। জনকণ্ঠ-আপনাকে ধন্যবাদ। অধ্যাপক, সাজ্জাদ হোসেন-জনকণ্ঠকেও ধন্যবাদ। গ্রন্থনা-আল নাহিয়ান, সাংবাদিক, দৈনিক জনকণ্ঠ
×