ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতালের বেড বাড়িতে নেওয়ার পথে ধরা খেলেন চিকিৎসক

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৬ জুন ২০২১

হাসপাতালের বেড বাড়িতে নেওয়ার পথে ধরা খেলেন চিকিৎসক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের রোগীর বেড পরিচালককে না জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় এক চিকিৎসককে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনাকে চুরি বা পাচার বলে স্থানীয়রা দাবি করলেও চিকিৎসক শাহীনুর রহমান বলছেন অন্য কথা। বুধবার (১৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে রংপুর নগরীর বুড়িরহাট রোড ডক্টরস ক্লিনিকের সামনে ঘটনাটি ঘটে। ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বেডটি জব্দ করে। দুই দফায় ওই চিকিৎসকের সঙ্গে স্থানীয়দের বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে বেড হাসপাতালে পৌঁছে দেন তারা। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের নাম একেএম শাহীনুর রহমান। তিনি হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চাকরি করছেন। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। শাহীনুর রহমান বলেন, তার মা দেড় মাস ধরে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। বর্তমানে তার মাকে কেবিনে রাখা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে নেওয়ার কথা চলছিল। তিনি আরও বলেন, বাড়িতে যাতে বেডে থাকতে অসুবিধা না হয়, এ কারণে স্টোর রুমে পড়ে থাকা পুরাতন বেড মুচলেকা দিয়ে নেই। বুধবার বিকেলে বেডটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়াতে তা আটক করে। পরে তাদের উপস্থিতিতে বেড হাসপাতালে ফেরত দেই। তিনি বলেন, আমি পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছি। হাসপাতালের সম্পদ নষ্ট হোক, এমনটা কখনো করিনি। শুধু মানবিক দিক থেকে নিজের মায়ের থাকার সুবিধার কথা চিন্তা করে স্টোরকিপার বেলাল ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ইনচার্জ মমতাকে অবগত করে মুচলেকার মাধ্যমে বেডটি নিয়েছিলাম। স্টোরকিপার বেলাল হোসেন এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ইনচার্জ মমতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে নাম না প্রকাশের শর্তে একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই বেডটি স্যারের (ডা. শাহীনুর) অসুস্থ মায়ের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, ওই চিকিৎসক তার মায়ের জন্য স্টোরকিপার ও ওয়ার্ড ইনচার্জকে অবগত পুরাতন বেড বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে পাচারের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে তার অনুমতি ছাড়াই বেড নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
×