ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে পাস

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ১৬ জুন ২০২১

জেল-জরিমানার বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে পাস

অনলাইন ডেস্ক ॥ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে কেয়ার সেন্টার) স্থাপনে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন ও সনদ বাধ্যতামূলক করে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে। দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এর আগে বিলের ওপন দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। বিলে বলা হয়, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদাণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। এ আইন প্রবর্তন হলে সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণির কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ নিয়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। বিলে আরও বলা হয়েছে, শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে না। অনুমোদন ছাড়া এসব পরিচালনা করলে অপরাধ হবে। নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র চালালে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটাতে সহায়তা করলে বা তথ্য গোপন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। যেসব শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এখন পরিচালিত হচ্ছে, নতুন আইন পাস হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে। তখন সবগুলো শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে আসবে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যৌথ পরিবার প্রথা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং একক পরিবারের সংখ্যা দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে দিন দিন কর্মজীবী ও পেশাজীবী মায়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিকে দিনের বেশিরভাগ সময় নিজ বাসগৃহের বাইরে অবস্থান করতে হয় এবং তার শিশুর জন্য মানসম্মত উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার লক্ষ্যে শিশুর দিবাকালীন অবস্থানের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
×