ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ১৩

রামেক হাসপাতালে ১৫ দিনে মৃত্যু ১৪৮ জনের

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ১৬ জুন ২০২১

রামেক হাসপাতালে ১৫ দিনে মৃত্যু ১৪৮ জনের

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে কোনভাবেই থামছে না করোনায় মৃত্যুর মিছিল। সর্বশেষ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৫ দিনে (১-১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এরমধ্যে ৮৮ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে তারা মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ, রাজশাহীর দুই ও নওগাঁর একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর একজন করে রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত আরেকজনের করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে করোনা ইউনিটে ছিলেন। তিনি আরও জানান, গত ১৫ দিনে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এরমধ্যে ৮৮ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এরমধ্যে ১ জুন সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন ৯ জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন চারজন, ১৩ জুন ১৩ জন, ১৪ জুন ১২ জন এবং সর্বশেষ ১৫ জুন ১২ জন মারা যান। হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আট, নাটোরের চার, নওগাঁর পাঁচ ও কুষ্টিয়ার দুইজন রয়েছেন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের ২৭৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩২৫ জন। অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে ৫২ জন রোগীকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদেরমধ্যে রাজশাহীর ১৮৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮২, নাটোরের ১৭, নওগাঁর ২৬, পাবনার চার, কুষ্টিয়ার ছয় ও চুয়াডাঙ্গার একজন রয়েছেন। এদিকে, রাজশাহীতে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। সর্বশেষ সোমবার দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সোমবার রাতে দুটি পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, আগেরদিনের চেয়ে ১১ দশমিক ১ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা আগেরদিন রবিবার ছিল ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এর আগেরদিন শনিবার শনাক্তের হার ছিল ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, সোমবার রাতে রাজশাহীর দুই ল্যাবে চার জেলার মোট ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এরমধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১৭৭ জনের। রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৯ নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের পজিটিভ এসেছে। এখানে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর নওগাঁয় ৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। সেখানে শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া নাটোরের তিনজনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনের পজিটিভ আসে। এখানে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর আর সংক্রমণের হারে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে রাজশাহীতে। এখনও মৃত্যু বেশি চাঁপাইনবাবগঞ্জে হলেও সংক্রমণ সেই হারে কমেনি রাজশাহীতে। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চেয়েও এখন রাজশাহীর করোনা পরিস্থিতি ভীতিকর। এ মাসের শুরুর দিকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মৃত্যুর তালিকায় বেশি নাম থাকত চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোগীর। কিন্তু গেল কয়েকদিনে সে চিত্র একেবারেই বদলেছে। এখন সবচেয়ে বেশি রোগী মারা যাচ্ছেন রাজশাহীরই। প্রতিদিন ভর্তি তালিকাতেও রাজশাহীর রোগী বেশি। রামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রচÐ বেগ পেতে হচ্ছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। তখন সামাল দেয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে। রাসিকের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ॥ এদিকে লকডাউনের পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে রাজশাহী নগরে মসজিদভিত্তিক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। আন্তর্জাতিক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউএস সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলের (সিডিসি) সার্বিক সহযোগিতায় নগরীতে জনসমাগম বেশি হয় এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দুই মাসব্যাপী এই জনসচেতনতামূলক শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতাভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি মসজিদ হলো, নগরীর বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, হযরত শাহ্মাখদুম রূপস মাজার শরীফ মসজিদ, মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া জামে মসজিদ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ জামে মসজিদ ও মহিষবাথান কেন্দ্রীয় মসজিদ। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মসজিদগুলোতে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক করোনা মোকাবেলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার নির্দেশিত বিভিন্ন বার্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন। সেই সঙ্গে নির্ধারিত মসজিদগুলোতে ৫০০ বক্স মাস্ক, ৭৫০ পিস সাবান ও ২০০ পিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে করোনা সম্পর্কিত চার শ’ জনসচেতনতামূলক ফেস্টুন টানানো ও মাইকিং করা হবে। করোনা রোগীর কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেবে নগর পুলিশ ॥ এদিকে রাজশাহীতে বিনামূল্যে প্রয়োজনানুসারে নগরীর কোভিড আক্রান্তদের অক্সিজেন সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে রাজশাহী নগর পুলিশ গঠন করেছে ‘পুলিশ কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক’। মঙ্গলবার দুপুরে নগর পুলিশ কার্যালয়ে কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও দ্রæতই তা ১শ’ তে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন ব্যক্তি বা তার স্বজনরা কন্ট্রোল রুমের ০১৩২০-০৬৩৯৯৮ নম্বরে কল করলে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ পুলিশ সদস্য আক্রান্তের ঠিকানায় উপস্থিত হবেন। খুলনা করোনায় মৃত্যু ১৩ জন, আক্রান্ত ৮০০ ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৮০০ জন। খুলনা বিভাগে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এটাই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে খুলনায় ২ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৩ জন, ঝিনাইদহে ২ জন, যশোরে ২ জন ও বাগেরহাটের রয়েছেন একজন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন খুলনায় ১৬৬ জন, বাগেরহাটে ৫৩ জন, সাতক্ষীরায় ৯১ জন, যশোর ২৪৯ জন, নড়াইল ৩৩ জন, মাগুরা ১০ জন, ঝিনাইদহ ৩৪ জন, কুষ্টিয়া ৯১ জন, চুয়াডাঙ্গা ৫০ জন ও মেহেরপুর ২৩ জন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভাগে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে খুলনা জেলা শীর্ষে রয়েছে। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮২০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭৯৩ জন। বাগেরহাট জেলায় মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৬২ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৫ জন। বগুড়ায় তিনজনের মৃত্যু ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বগুড়ায় করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার বেড়ে দ্বিগুণে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৬ জন শনাক্ত ও এক মহিলাসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীদের মধ্যে একজনের বাড়ি বগুড়া সদরে এবং অন্য দু’জনের বাড়ি জয়পুরহাটে। আর নতুন করে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশে। চলতি মাসের প্রথমে এই হার ছিল প্রায় ১১ শতাংশে। সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে নাটোর ও নওগাঁ থেকে বগুড়ার প্রবেশপথে স্ক্রিনিং ও এ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরও ৯১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সোমবার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁপাইয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু ॥ সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে ৪৯ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে তিনজন ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যশোরে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন ভারত ফেরত। এটি জেলায় একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এছাড়া মারা গেছেন তিনজন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের দুটি পৌরসভায় লকডাউন চললেও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসন বলছে, লকডাউন কার্যকর করতে আরও কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসঙ্গে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের। ঝালকাঠিতে আক্রান্ত ১১ জন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠি জেলায় মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন। জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ৬,০৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ১,৩৯৫ জন পজিটিভ এবং ৪,২৪১ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ১,২৯৫ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৬৭ জন হোম ও ২ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী এসব তথ্য দেন। নওগাঁয় নতুন আক্রান্ত ৭২ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা এবং অন্যজন পুরুষ। তাদের একজন রানীনগর এবং অপরজন নিয়ামতপুর উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪ জন। বাগেরহাটে নতুন আক্রান্ত ১০২ জন ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মংলা ইপিজেডে হাও কিনজুয়ান নামে এক চীনা নাগরিক রয়েছেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯১ নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। বাকি ৬৫ জন শনাক্ত হন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় র‌্যাপিড এ্যান্টিজেন ল্যাবের পরীক্ষায়। এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২০৯ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫শ’ ১৪ জন।
×