ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জবির ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দায়িত্বে ফের জুনায়েদ হালিম

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১৫ জুন ২০২১

জবির ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দায়িত্বে ফের জুনায়েদ হালিম

জবি সংবাদদাতা ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভাগের অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে পুনরায় নিযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান দৈনিক জনকণ্ঠকে এ তথ্য জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমদ হালিমের নিয়োগের মেয়াদ ১৪ জুন পূর্ণ হওয়ায়। তাকে আবারও তিন বছরের জন্য ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এক অফিস আদেশে বলা হয়, নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এ আদেশ ১৬ জুন থেকে কার্যকর হবে। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে আর কোনো অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক না থাকায় তিনি পুনরায় চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়। অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম বলেন, দেশে চলচ্চিত্রের ওপর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র কম। মাত্র তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্রের বিভাগ রয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ অনেক নবীন। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও এগিয়ে চলছে। অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র শিক্ষক যিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ এ শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’ এবং ২০০৯ সালে ‘বৃত্তের বাইরে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। জুনায়েদ হালিম ১৯৮৬ সালে ‘ঢাকা টোকাই’-এর মাধ্যমে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়াসহ তার সম্পাদনায় ১৯৯৭ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের অনেক সিনেমা দেশে-বিদেশে নানা ধরনের স্বীকৃতি ও পুরস্কার লাভ করে। পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এছাড়া ২০০৭ সালে ‘স্বপ্নডানায়’ চলচ্চিত্র সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং ২০০৮ সালে ‘রূপান্তর’ চলচ্চিত্র ভারতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির (২০১৯-২২) সদস্য।
×