লাইকি ভিডিও করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ জেলার জাফলংয়ে গিয়ে লাইকি ভিডিও করার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা থানায় মামলা দায়ের করে এখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ধরাছোঁয়ার বাইরে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন নির্যাতিতা কিশোরী ও তার পরিবার। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ইসলামপুরে। বর্তমানে তারা জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর বাজার এলাকায় বসবাস করছেন। নির্যাতিতার বাবা রিকশাচালক। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা তরুণীর বাবা বলেন, লাইকি এ্যাপসে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে লিজা নামে এক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার মেয়ের। তার মাধ্যমে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বানীগাজী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুবায়ের আহমদ ওরফে মি. ফান্নী আহমদের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয়। ১৯ মে লিজা আমার মেয়েকে বলে লাইকি ভিডিও করতে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে ভিডিও করবে বলে জানায়। বিষয়টি আমার মেয়ে আমাকে অবগত করলে আমি লিজার সঙ্গে কথা বলে তাকে জাফলং যাওয়ার অনুমতি দেই। সেখান থেকে লিজা তাকে সিলেট নগরের শিবগঞ্জ এলাকায় জুবায়েরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নাস্তা খেতে দেয়। নাস্তা খাওয়ার পরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় জুবায়ের আমার মেয়েকে জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ ও মারধর করে। পরদিন সকালে আমার মেয়েকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে বিশ্বনাথে আমার এক আত্মীয়ের বাসাতে দিয়ে যায়। এ সময় জুবায়ের এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।