ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পরীমনির মামলায় নাসির উদ্দিনসহ ৫ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:১২, ১৫ জুন ২০২১

পরীমনির মামলায় নাসির উদ্দিনসহ ৫ জন গ্রেফতার

আজাদ সুলায়মান ॥ এ সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডে নাসির উদ্দিনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত বুধবার রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে ওই নায়িকাকে জোরপূর্বক মদ খাওয়ানো, ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। রবিবার রাত থেকেই এ ঘটনা টক অব দ্য সিটি। জানা যায়, সোমবার দুপুরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদসহ ডিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা নাসিরের বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় নাসির তার বেডরুমে খাটের ওপর বসা ছিলেন। তার পাশে অমি ও লিপি। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে ডিবি। তবে সেগুলো অনুমোদিত কিনা তা যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ। এ সময় যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গুলশান বিভাগে একটি টিম অভিযানে এসেছে। আমরা জানি, পরীমনি একটি হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছেন। মামলার সব আসামিকে গ্রেফতার করা হবে। এ বাসা থেকে নাসির, অমি ও লিপিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি। এর আগে সকালে রূপনগর থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। ৯ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। রবিবার রাতে প্রথমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এদিকে সোমবার থেকে শুরু হয়ে গেছে মামলার তদন্ত। বাকি আসামিদের ধরার পাশাপাশি নাসির উদ্দিনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেফতারের পর গুলশান জোনের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, পরীমনি রাতে যে বনানী থানায় এসেছিলেন সেই ভিডিওগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি। আমরা দেখেছি উনার কী অবস্থা ছিল। এছাড়া এই ক্ষেত্রে রূপনগর থানা ও সাভার থানা পুলিশ অবশ্যই ঘটনাস্থলের যে সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ আছে সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে। এছাড়া বনানী থানার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারি, গত ৯ জুন রাত ৩টা ৫২ মিনিটে পরীমনি থানায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুইজন ছিলেন। তিনি ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছিলেন না। কিছুটা অসংলগ্ন অবস্থায় তার দুইজন সঙ্গী তাকে প্রায় পাঁজাকোলা করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তিনি কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ মতে, সাভার ও বিরুলিয়ার মাঝখানে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে মদের সঙ্গে ড্রাগ মিশিয়ে পান করানোর চেষ্টা করে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তিনি যেহেতু অসংলগ্ন অবস্থায় ছিলেন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তখন ডিউটি অফিসার তাকে দ্রæত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। স্বাভাবিক হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য ডিউটি অফিসার তাকে অনুরোধ করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে বনানী থানার একটি মোবাইল টিম তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বসুন্ধরায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতাল পৌঁছে দেয়। পরের দিন তার থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করার কথা ছিল। পরবর্তীতে তিনি থানার অফিসার এবং আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বা অভিযোগ দায়ের করতে আসেননি। তিনি আইজিপি মহোদয়ও ডিএমপি কমিশনার সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও বলেছেন। আসলে উনার ওই পর্যায়ে কারো সঙ্গে কোন যোগাযোগ হয়নি। তিনি যেহেতু পরবর্তীতে বিষয়টি আমাদের জানাননি তাই এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। তিনি বলেন, গতকাল পরীমনির ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি প্রথমে জানতে পারি। তারপর গতকাল রাতে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তখন আমরা ঘটনাটি বিস্তারিত জানতে পারি। এরপর থেকেই আমরা তদন্তে নামি। গতকাল বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পর অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। ঘটনাটি যেহেতু ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটেছে, সেহেতু ডিএমপি গুলশান বিভাগ, মিরপুর বিভাগ ও ঢাকা জেলা থানা সমন্বিতভাবে এ বিষয়ে কাজ করছে। এ মামলা দায়েরের বিষয়ে ডিসি গুলশান বলেন, রবিবার মধ্য রাত পর্যন্ত আমরা মামলা রজুু করার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অপেক্ষা করছিলাম। সোমবার ভোরে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যেহেতু ঘটনাস্থল সাভার থানায় তাই অভিযোগটি সাভার থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সাভার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে তিনি বনানী থানা এলাকায় বসবাস করেন তাই বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছি। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন কি না সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বনানী থানার মোবাইল টহল টিমকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য। আমরা তার পাশে আমরা আছি। তাকে আইনীর পাশাপাশি মানসিক সেবা দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। তার অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ঢাকা জেলা পুলিশ ও ডিএমপি যৌথভাবে কাজ করছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য পুলিশ কাজ করছে। আমরা আশা করছি, দ্রæত সময়ের মধ্যে ভাল কিছু করা যাবে। এ মামলার আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ক্ষেত্রে পুলিশের ওপর কোন চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গুলশানের ডিসি বলেন, আইজি ও ডিএমপি কমিশনার মহোদয় এ বিষয়ে অবগত আছেন। ডিএমপির গুলশান ও মিরপুর বিভাগ এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যূনতম কোন চাপ নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ পরীমনি বাংলাদেশের সবার কাছে পরিচিত এবং সেলিব্রেটি তাই তার স্পর্শকাতর বিষয়গুলোও আমাদের দেখতে হচ্ছে। তার কোন ধরনের গোপনীয়তা যেন নষ্ট না হয় সেটিও আমরা দেখছি। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল এমন বিবেচনা মাথা নিয়ে আমাদের কাজটি করতে হচ্ছে। উর্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনার দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরীমনির বিরুদ্ধে যে অশ্লীল অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এ বিষয়ে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে সুদীপ বলেন, একজন মানুষের যে মানবিক মর্যাদা সেটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। যে অপরাধের শিকার হবেন তার জন্য অবশ্যই আইনের সব দরজা খোলা রাখতে হবে। তিনি যদি সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে তিনি লিখিত অভিযোগ করতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি কিন্তু আমাদের ডিএমপির সাইবার ইউনিট ইতোমধ্যে আমলে নিয়েছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছে। যারা সাইবার অপরাধ করবে এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কি আছে এজাহারে ॥ রাজধানীর অন্যতম আলোচিত এ ঘটনায় পরীমনি নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সাভার থানার এ মামলায় অভিযোগ হচ্ছে, পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা। ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় আসামি করা হয় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন, পরীর নিজের বন্ধু অমি ও অজ্ঞাতনামা চারজনকে। এজাহারে পরীমনি লিখেছেন, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরীমনি, তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, বন্ধু অমি ও বোন বনি দুটি গাড়িতে উত্তরার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পথে অমি জানান, ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করানো হয়। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোন এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তারপর ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেন। অমি অনুরোধ করে এখানের পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো। আমরা বোট ক্লাবে প্রবেশ করে বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হতেই অভিযুক্ত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। এজাহারে আরও লেখা হয়েছে, আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ আসামি নাসির মদ্যপান করার জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে নাসির জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত হই। নাসির এ সময় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে ও আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নাসির উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রক্ষিত গøাস ও মদের বোতল আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসিরকে বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। এ অবস্থায় ৯৯৯-এ কল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন উল্লেখ করে পরীমনি আরও লেখেন- ৯৯৯ এ কল দিতে গেলে আমার ব্যবহৃত ফোনটি টান মেরে ফেলে দেয়া হয়। ফোনটি উঠিয়ে কল দিতে চাইলে আবারও ফোনটি টেনে ফেলে দেয়া হয়। অমিসহ অজ্ঞাতনামা চার আসামি নাসিরকে সহায়তা করে। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারব। এ ঘটনায় পরীমনির অভিযোগ, অমি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে বোট ক্লাবে নিয়ে যায় এবং সেসহ অজ্ঞাতনামা চার আসামির সহায়তায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে অপর সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত ৩টার দিকে আমি আমার গাড়িযোগে প্রায় অচেতন অবস্থায় আমার সঙ্গীদের সঙ্গে ফিরে আসি। আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন অভিযোগ করে পরীমনি আরও লেখেন, এ বিষয়ে আমি আমার পরিবার, শিল্পী সমিতি ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করেছি। পুরো ঘটনার জন্য দুজনকে দায়ী করেছেন পরীমনি। তাদের একজন রাজধানীর উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাছির ইউ মাহমুদ, অন্যজন পরীর কস্টিউম ডিজাইনার জিমির স্কুলবন্ধু অমি নামের এক ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে যা বলেন, রবিবার রাত ১০টার পর বনানীর নিজ বাসায় এক জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডেকে সেই রাতের ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পরীমনি বলেন, নাসির উদ্দিন নামে একজন নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ঘটনার দিন রাত ১২টার পর পরিচিতজনদের নিয়ে ওই ক্লাবে যাই। সেদিন চার মদ্যপ ব্যক্তি আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। চড়-থাপ্পড় মারে। গায়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে একজন তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করে। তিনি বলেন, আমি সুইসাইড (আত্মহত্যা) করার মতো মেয়ে না। আমি যদি মরে যাই, আপনারা বুঝবেন আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি সুইসাইড করতে পারি না। আমি সুইসাইড করব না। আমি আমার বিচার নিয়ে মরব। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, বিচার চাই। আমি আজকে মরে গেলে... আমি সুইসাইড করি নাই, সবাই জেনে রাখেন। আর আমাকে যদি কেউ মারে, আমি যদি মরে যাই; ভাইয়ারা আপনারা বিচার কইরেন, আল্লাহর কসম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চার দিন ধরে একদম সাধারণ মেয়ের মতো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু আমাকে কেউ সাহায্য করেনি। পরীমনি হিসেবে যখন স্ট্যাটাসটা দিলাম তখনই সবাই আসলেন। এমন ঘটনায় সাধারণ মেয়েরা প্রথমে কোথায় যায়। থানায় যায়। আমিও থানায় গিয়েছি। আমি বারবার বলেছি, ঘটনাটা যদি নিজের সঙ্গে না ঘটে তাহলে কেউ বুঝবে না। ওইদিন পর্যন্ত কি তবে অপেক্ষা করবেন। সেই রাতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার মুখটা সাদা কাপড়ে ঢাকা পড়লেই কেবল বুঝতেন। আমি চার দিন ধরে কারও সাপোর্ট পাইনি। আপনারা সত্যিটা খুঁজেন। সাধারণ কোন মেয়ের হলে সে খবর হয়তো আপনাদের কাছে পৌঁছায় না। সাংবাদিকদের কাছে খবর পৌঁছানো হয় না। আমার মতো যখন কোন মেয়েকে ভয় দেখানো হয় তখন সাধারণ মেয়ের খবর তো পাবেন না!। তিনি বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আমার এক বন্ধু (অমি) বাসায় আসেন। বাসা থেকে আামাকে ঢাকা বোট ক্লাব নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জিমি (ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী)। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে সাত/ আটজনের একটা গ্রæপ ছিল। তাদের মুরব্বি ছিলেন নাসির। তিনি বোর্ড ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচয় দেন। নাসিরসহ উপস্থিত ৭/৮ আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। আমাকে আটকে ফেলে। জোর করে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। জিমিকে মারধর করা হয়। অশ্লীল নানা কথাবার্তা বলা হয়। মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়। এ সময় নাসির আমার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন। তারপর বনানী থানায় অভিযোগ করতে যাই। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। এ সময় পুলিশের সাহায্যে হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। তিনি এক পর্যায়ে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি ভাই বলতে পারছি না। ভাই, আমার বলতে ইচ্ছা করছে না। আপনারা পাঁচটা মিনিট কান্না দেখতেছেন, আমি চার দিন ধরে পাগল হয়ে গেছি ভাইয়া। আমি সুস্থ নই, আমি না ভাইয়া পাগল হয়ে গেছি, পাগল। আমার জায়গায় থাকলে আপনারা কেউ এখানে বসে কথা বলতে পারতেন না। সেভ মি। প্লিজ সেভ মি। সেই রাতে জবরদস্তি সম্পর্কে পরীমনি বলেন, নাসির প্রথমে আমারে দুটা থাপ্পড় মারছে। আমি তো এমনিতে কোন কথা বলতে পারছিলাম না, জিমিকে দেখে চুপ করে আছি... ওয়েটার যারা ছিল, লাইট অফ করে দিতে বলছে, লাইট অফ করে দিছে। তারপর টিভির মনিটর ছিল। আর একটা লোক ছিল শার্টটা এভাবে খুলে, বোতাম-টোতাম সরে গেছে। তারপর জিমির গলায় এভাবে প্যাঁচায় দিছে শার্টটা। প্যাঁচায় দিয়ে বলে কী মাধুরি দীক্ষিতের গানে এখন নাচবি তুই। আমি এই হরিবল দৃশ্য ভুলতে পারছি না। এরকম-ওরকম করতেছিল, আমার চোখের সামনে ভাসতেছে। তবে জোরপূর্বক যখন আমায় মদ খাওয়ায় দিছে আমি তখন ওইখানে বমি করছি। আমি নাকি সেন্সলেস হয়ে গেছিলাম। আমার অক্সিজেনের একটা প্রবলেম আছে, সবাই জানে। আমার বাসায় তিনটা সিলিন্ডার থাকে অনেক আগে থেকে, সাড়ে তিন বছর চার বছর হয়ে গেছে। আমি যখন নাকি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম ওয়েটাররা আমাকে ধরে আমাকে নামাইছে... পুরো বিষয়টা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে। আমি যাওয়ার সময় দেখেছি সেখানে ক্যামেরা আছে। সেখানে সিকিউরিটি অনেক কড়া। আমি যখন ফিরছি, তখন দেখি আমার গাড়ির গøাস সব খোলা। উপরের হুড খোলা। আমি দেখতে ছিলাম আমার কাপড় ঠিক আছে কি না। জিমি বলছিল, মায়ের কসম আপি তুমি ঠিক আছ। আমি ৯৯৯ এ কল দিছিলাম। আমি বলেছি, উত্তর থানা নাকি দক্ষিণ থানা আমি জানি না ভাই, এটার নাম হচ্ছে বোট ক্লাব, তখন ওই লোকটার সঙ্গে আরও দুই-তিনজন ছিল ওরা বের হয়ে যায়। এটুকু মনে আছে, পরে আর কিছু মনে নাই। ফেসবুক ভাইরাল ॥ এ ঘটনা নিজের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেযার পর মুহূর্তেই সেটা ভাইরাল হয়েয যায়। গণমাধ্যমকর্মীরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। অনলাইন নিউজ পোটালগুালো ব্রেকিং নিউজ দিতে থাকে। ওই স্ট্যাটাসে পরীমনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখেন- “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমনি। এ দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এই বিচার কই চাইবো আমি। কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার। আমি খুঁজে পাইনি চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্র বন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না মা। যাদের পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনার বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়। আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারি করতে চলেছি হয়তো। আফসোস ছাড়া কারোর কি করার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা। আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে। পরীমনি জানান, গত বুধবার রাত ১২টায় নতুন একটি প্রজেক্টের মিটিংয়ের কথা বলে তাকে বিরুলিয়ায় অবস্থিত বোট ক্লাবে নিয়ে যান অমি। পরী সেখানে গিয়ে দেখেন নাসির ইউ মাহমুদসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমনিকে পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরীকে নাসির ইউ মাহমুদ মদপানের প্রস্তাব দিলে পরী সেটি নাকচ করেন। এরপর তাকে কফি খেতে দেয়া হয়। কফির কাপে তিনি চুমুক দিলেও স্বাদ খানিকটা অস্বাভাবিক মনে হয়। তাই তিনি আর কফি পান করেননি। টেবিলে থাকা ঠাণ্ডা পানীয়তেও তিনি মুখ দেননি। বিপরীতে বারবার এগুলো পান করার জন্য জোর করছিলেন নাসির ইউ মাহমুদ। সেটি না শোনায় পরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এরপর টেবিল থেকে উঠে ওয়াশরুমে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। বাসায় যেতে চাইলেও যেতে দেয়া হয়নি। নাসির ইউ মাহমুদ আমাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। মুখের ভেতর জোর করে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এতে দাঁতে আঘাত লাগে এবং কিছু মদ গলায় যায়। গলা ও বুক জ্বলতে থাকে। আমি তখনই খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার সঙ্গে থাকা জিমি তখন চিৎকার ও কান্না শুরু করলে আমাদের ধর্ষণের হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন নাসির। সেখানে অনেকক্ষণ ধরে অচেতন অবস্থায় ছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে কী ঘটেছিল তাও তিনি জানেন না। কীভাবে তিনি সেখান থেকে এসেছেন তাও তার জানা নেই। একপর্যায়ে নিজেকে তার গাড়িতে দেখতে পান বলেও জানান। পরী বলেন- এ সময় আমার কাপড় ভেজা ও ফাটা ছিল। মামলা দায়ের সম্পর্কেও ফেসবুকে পুলিশের আইজিপি বেনজীর সম্পর্কে পরীমনি লিখেন, “থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্র বন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার পর্যন্ত আমি কাউকে পাই না, মা। যাদের পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনাটি বিস্তারিত জেনে দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়। এ বিষয়ে পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক এআইজি সোহেল রানা বলেন, আইজিপি স্যারের সঙ্গে পরিমণি কখনওই কথা বলেননি। আইজিপি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেননি। আইজিপি স্যার এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। স্যারের নাম অহেতুক ম্যানশন করা হয়েছে। তবে ফেসবুক স্ট্যাটাস পুলিশ সদর দফতরের নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পরীমনির অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তিনি পুলিশের প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত সেবা পাবেন। উপযুক্ত বিচার পাবেন। যা বলেন ওসি নুরে আযম ॥ রবিবার রাতে পরীমনি অভিযোগ করেন বনানী থানার পুলিশ সেই রাতে তার মামলা গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া বলেন, বুধবার মধ্যরাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তিনি বনানী থানায় এসেছিলেন। ওই সময় তিনি বেসামাল ছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় কারও অভিযোগ নেয়া যায় না। পরীমনি মদ্যপ অবস্থায় বলেছিলেন যে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছে। তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তবে পরীমনি ভারসাম্য অবস্থায় ছিলেন না। তাই ডিউটি অফিসার তাকে প্রথমে চিকিৎসা নিতে বলেন। চিকিৎসার পর অভিযোগ শোনার আশ্বাস দেন। এরপর পুলিশের একটি দল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে পরীমনি আর অভিযোগ করেননি। বেসামাল অবস্থায় অভিযোগ নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা রবিবার রাত পর্যন্ত তাকে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। তিনি মধ্যরাত পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেননি। কে এই নাছির ইউ মাহমুদ ॥ পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হিসেবে নাসির ইউ মাহমুদও ফেসবুকের আলোচনার শীর্ষে ওঠে আসেন। তার চরিত্রের এত অধঃপতনের ঘটনায় অনেকেই বিস্মিত। নাসিরের প্রধান পরিচয় তিনি উত্তরা ক্লাবের পর পর তিন বার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি বোট ক্লাবেরও একজন প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠাতা। নাসির ইউ মাহমুদ বর্তমানে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট এ্যান্ড কালচারাল এ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি পদে আছেন। এছাড়া তিনি কুঞ্জ ডেভেলপারসের চেয়ারম্যান, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাবেক জেলা চেয়ারম্যান। তিনি ঢাকা প্রথম বিভাগে খেলা একজন সাবেক ফুটবলার। এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের সাবেক নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। তিনি ৩৭ বছর ধরে ডেভেলপার ব্যবসায়ে আছেন। ১০ বছর ধরে মাহমুদ কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাপার ৯ম কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। যা বলেন নাসির ॥ এদিকে পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর আগে সাংবাদিকদের সামনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নাসির সেই রাতের ঘটনা সম্পর্কে বলেন ‘বুধবার রাতে আমি যখন ক্লাব থেকে বের হই তখন পরীমনি ক’জন বন্ধুকে নিয়ে ক্লাবে ঢুকে। তারা তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তাদের মধ্যে একটি ছেলে উচ্ছৃঙ্খল ছিল। ক্লাবে ঢোকার পর আমাদের বারের কাউন্টার থেকে বড় বড় ও দামি ড্রিংকসের বোতল জোর করে নেয়ার চেষ্টা করে তারা। তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে বলি, আপনারা ড্রিংকসগুলা নিতে পারেন না। আমি তাদের বাধা দেই। আমি বলি, এটা শুধুমাত্র ক্লাবের মেম্বারদের জন্য। এখান থেকে মদ নিতে হলে তোমাদের কোন সদস্যের এ্যাকাউন্টের বিপরীতে নিতে হবে। তারপর আমি আমার সিকিউরিটিদের ডাক দেই। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে তাদের নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখন আমাকে ধর্ষক হিসেবে বলা হচ্ছে। এত লোকের সামনে কেউ কোনদিন ধর্ষণ করে? শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছি ॥ ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনার পর ভেঙ্গে পড়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হওয়ায় নিজের মনোবল বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার রাতে বনানীর বাসায় এক অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে মনের অবস্থার কথা সাংবাদিকদের জানান এই তারকা। আসামিরা গ্রেফতার হওয়ার পর সাংবাদিকদের পরীমনি বলেন, কোনদিন ভাবিনি আমাকে ক্যামেরার সামনে এভাবে দাঁড়াতে হবে। সবসময় কাজের জন্যই দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। তবে এখন আমি আরও শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর সাহস পাচ্ছি। সবকিছু এত দ্রুত হয়ে গেল, সেটা দেখে শান্তি পাচ্ছি। আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ঢাকা বোট ক্লাব থেকে ৩ জনকে বহিষ্কার ॥ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর তিন সদস্যকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বোট ক্লাব। বহিষ্কৃতরা হলেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ এস আলম। পরীমনি অভিযোগ তোলার পর তুমুল আলোচনার মধ্যে সোমবার রাতে ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি জরুরী বৈঠকে বসে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি, পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ। তিনি ক্লাব থেকে তিনজনকে বহিষ্কারের কথা নিশ্চিত করেছেন।
×