ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিরল উদ্যোগ, আট ব্যাডমিন্টন কোচকে পৃষ্ঠপোষকতা

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১৪ জুন ২০২১

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিরল উদ্যোগ, আট ব্যাডমিন্টন কোচকে পৃষ্ঠপোষকতা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবসময়ই পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় খেলোয়াড়দের। কিন্তু কোচরা বরাবরই উপক্ষিত থাকেন এক্ষেত্রে। কিন্তু সোমবার বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) অডিটোরিয়াম দেখা গেল ব্যতিক্রমী দৃশ্য-এবারই প্রথম কোচদের পৃষ্ঠাপোষকতা করা হলো। এরা হলেন আট ব্যাডমিন্টন কোচ। আর তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে কাওয়াসাকি বাংলাদেশ। বিওএর অডিটোরিয়ামে এই বিরল উদ্যোগের ক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিওএর উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) উপ-পরিচালক সৈয়দা তাসলিমা আক্তার ও কাওয়াসাকির বাংলাদেশে একমাত্র পরিবেশক ভাস্তিকা ট্রেডার্সের চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান রাজু, যিনি সাবেক শাটলার ও ব্যাডমিন্টন কোচও বটে। আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কোচদের (একজন অনুপস্থিত ছিলেন) কে রাকেট কেট, জার্সি, টি-শার্ট দিয়ে স্পন্সর করে কাওসাকি। কোচরা হলেন : টিম নিখিল ব্যাডমিন্টন একাডেমির নিখিল চন্দ্র ধর, সিলেট ব্যাডমিন্টন একাডেমির সিব্বির আহমেদ, ফেনী ব্যাডমিন্টন একাডেমির আব্দুল হান্নান, জোস্ট-জোন ব্যাডমিন্টন একাডেমির মিলন সরদার, যশোরের এজাজুর রহমান তুষার, দিনাজপুরের আরেফিন আহমেদ অভি, সেনবাগ ব্যাডমিন্টন একাডেমির আলমগীর হোসেন ও ঢাকার রাজিব আহমেদ। টিম নিখিল ব্যাডমিন্টন একাডেমির কোচ নিখিল বলেন, আমাদের লেভেল-ওয়ান কোচ আছে ৩৭ জন। যার ২০ জন ব্যাডমিন্টন থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এটা সম্ভব হয়েছে কাওয়াসাকি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান রাজুর কারণে। কাওয়াসাকি ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে ব্যাডমিন্টনে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু করে। ২০১০ সাল থেকে দেশের সেরা শাটলারদের নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার কোচদের সঙ্গে যুক্ত হলো তারা। তৃণমূল থেকে খেলোয়াড়দের পরিচর্যার কাজ তরান্বিত করতে এ উদ্যোগ বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কাওয়াসাকি ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের যৌথ উদ্যেগে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাডমিন্টন একাডেমি নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জমির ব্যবস্থা করে দিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজ সহজ হবে জানান উদ্যোক্তারা।
×