ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরের ৩ গ্রামে ‘লকডাউন’, রাজশাহীগামী বিআরটিসি বাস বন্ধ

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ১৪ জুন ২০২১

মেহেরপুরের ৩ গ্রামে ‘লকডাউন’, রাজশাহীগামী বিআরটিসি বাস বন্ধ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ করোনা সংক্রমণ বাড়ায় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী দু’টি ও মুজিবনগর উপজেলার একটি গ্রামে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১০টা থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান ভার্চ্যুয়াল সভায় বিধিনিষেধের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাংনী উপজেলার হিন্দা, তেঁতুলবাড়িয়া ও মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামকে পুরোপুরি ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। এসময়ে এ তিন গ্রামে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া জেলা থেকে রাজশাহী যাতায়াতকারী বিআরটিসি বাস বন্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় জানানো হয়, এসব গ্রামের লোকজনকে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রত্যেককে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে। সভায় পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি, সিভিল সার্জন ডা. মো. নাসির উদ্দিন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাংবাদিক মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন। চলতি মাসের ১৪ দিনে মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় ২২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামে ১৮ জন এবং তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে ২৩ আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৪ মার্চ থেকে চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭৯ জন। সিভিল সার্জন মো. নাসির উদ্দীন জানান, করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯২৪ জন। সভায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান জানান, মেহেরপুর জেলাকে ভালো রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, স্বাস্থ্যবিভাগ, পুলিশসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
×