ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফখরুল প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:১৭, ১৪ জুন ২০২১

ফখরুল প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রচন্ড মিথ্যাচার করেন। সেটার বহির্প্রকাশ হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষপূর্তিতে হেফাজতের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতায় ও অংশগ্রহণে যে তান্ডব হয়েছে, সেটিকে অস্বীকার করা এবং অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানের অপচেষ্টা চালানো। মিথ্যা বলতে বলতে কখন আবার হয়তো বলে বসবেন যে, খালেদা জিয়ার করোনা হওয়ার জন্যও আওয়ামী লীগ দায়ী! রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের মিথ্যাচার একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের কাছ থেকে কখনই কাম্য নয়। বরং তার (মির্জা ফখরুল) উচিত ছিল যারা এসব তা-বের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নিন্দা জানানো। সেটি না করে এভাবে মিথ্যাচার করে এ ধরনের ঘটনাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে, এটা কখনও সমীচীন নয়। বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের উত্তাল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে- এমন কথা আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার ছয় মাস পর থেকে শুনে আসছি। গত ১২ বছর ধরে শুনে আসছি। এই সমস্ত কথা বলে নিজেরা নিজেদের হাস্যকর করে তুলছেন। বাস্তবতা হচ্ছে জনগণের রায় নিয়ে পরপর তিনবার শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ঠিক উত্তর দিতে পারবে। তবে একথা ঠিক জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করেছেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে কী করেছেন সেগুলো ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে। যুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানীদের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত বিষয় নিয়ে মিথ্যাচার করলে আইন অনুযায়ী বিচার করা যায়। কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ববস্থা নেয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোন নাগরিক সংক্ষুব্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে আদালতে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ‘আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতি করছে’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল সাহেব পারিবারিকভাবে দুইবার ক্ষমতায় ছিলেন। তার পিতা এরশাদ সাহেবের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি আবার খালেদা জিয়ার মন্ত্রী ছিলেন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুর নাম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সকল প্রচার যন্ত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ক্রমাগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হলো আর সেই বঙ্গবন্ধুকেই অস্বীকার করা হয়েছিল। আজকে যখন সঠিক ইতিহাসটা জনগণ জানতে পারছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। এজন্য তারা এসব কথা বলছে। গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নেয়া হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করে দিলে সেটি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। এই আইন পাস হলে সাংবাদিকদের আর শ্রমিক হিসেবে অভিহিত করা হবে না। সম্প্রচারের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের আইনী সুরক্ষা হবে। দেশে ৩৪টি টেলিভিশন চ্যানেল ও ২২টি রেডিও রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের সুরক্ষা হবে। এই আইন হলে যে কোন সময় ছাঁটাই করা, কথায় কথায় বিদায় করে দেয়া- এগুলো অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে, সবাইকে আইনী সুরক্ষা দেয়া যাবে।
×