স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত আকারে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প চিন্তাও করা হচ্ছে রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। করোনা পরিস্থিতির অবনতির জন্য এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই। এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল-কলেজ খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগ অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তাদের পরীক্ষা নেয়ার জন্য। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি। টিভি, অনলাইন ও এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। তার সঙ্গে সুস্থ থাকতে হবে। জীবন থেকে এক বছর চলে গেলেও কিছু হবে না, তার চাইতে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা পদক্ষেপ হাতে নেয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
এর আগে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি বলেন, অনেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য কাউকে একপাল্লায় মাপেন। এটি অসম্ভব। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার সমকক্ষ কোন নেতা নেই, অদূর ভবিষ্যতে এমন সম্ভাবনাও নেই। একমাত্র শেখ হাসিনাই অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন তাই আমাদের কাছে তিনি স্বপ্ন দেখানোর অনন্য বাতিঘর। সেদিন শুধু শেখ হাসিনা মুক্তি পাননি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ তৈরি হয়েছিল। তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলেই আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচন পেয়েছিলাম। এরপর একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সারাবিশ্বের সামনে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন।
