ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রণেশ মৈত্র

সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভাঙ্গার এখনই সময়

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৪ জুন ২০২১

সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভাঙ্গার এখনই সময়

বিলম্বে হলেও বিগত ১৮ এপ্রিলের খরন্ত-দগ্ধ দুপুরে বহু নিন্দিত, আলোচিত ও সমালোচিত হেফাজতে ইসলামের অন্যতম শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বিলম্বিত হলেও সরকারকে এই গ্রেফতারের জন্য অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে কামনা করি বাবুনাগরীসহ দ্বিখন্ডিত হেফাজতে ইসলামের অপরাপর সকল নেতা-কর্মী এবং জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতা-কর্মীকে দ্রুত গ্রেফতার করা এবং সুনির্দিষ্ট মোকদ্দমা দায়ের করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাদের সবার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কথিত আছে, অপরাধীদের তাদের দুর্বলতম সময়েই কঠোরতম আঘাত হানতে হয়। হেফাজত ও জামায়াত নেতা-কর্মীরা দীর্ঘকাল পর এখনই তাদের দুর্বলতম সময় অতিক্রম করছে। তাদের আস্ফালন বিগত আটটি বছর ধরে যেভাবে বাড়ছিল এবং কোন অপকর্মেই ন্যূনতম বাধা পাচ্ছিল না, ধরাকে সরা জ্ঞান করছিল-অবসান ঘটানো হোক সেই দুঃস্বপ্নের যুগের সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও শাস্তিদানের মাধ্যমে। হেফাজতে ইসলাম নামটি অজানা ছিল দেশবাসীর। কিন্তু ২০১৩ সালে অকস্মাৎ ঢাকায় বিশাল সমাবেশ ডেকে দেশে সংবিধান ও সংস্কৃতিবিরোধী ১৩ দফা দাবি তুলে তাদের অস্তিত্বের জানান দেয় হেফাজত প্রথমবারের মতো। ওই ১৩ দফা দাবি না মানলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটাবে বলেও তারা ওই সমাবেশে ঘোষণা দেয়। সর্বশেষ ঘোষণা দেয় ঢাকা অবরোধের এবং বিপুল জমায়েত ঘটিয়ে ঢাকা মহানগরীর নানা সড়ক অবরুদ্ধ করে ফেলে। চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ফলে মানুষের চলাচল ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। বার বার পুলিশ মাইকে হেফাজতী নেতাদের যখন অবরোধ ভেঙ্গে যার যার এলাকায় ফিরে যাবার আবেদন জানায়, বেমালুম হেফাজত তাতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ বাধ্য হয়ে গভীর রাতে শক্তি প্রয়োগ করে সকলকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এভাবেই তাদের সেদিনকার কর্মসূচীর এক রক্তাক্ত অবসান ঘটে। ভাবা গিয়েছিল সরকার উগ্র দক্ষিণপন্থী ও দেশের রাজনীতি ও সমাজনীতিতে ফের পাকিস্তানী ধারা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। ঢাকা সমাবেশের তান্ডবকে ঘিরে বেশ কয়েকটা মোকদ্দমা ঢাকার মতিঝিলসহ বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয়েছিল। বেশকিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগে হেফাজতের বাবুনগরী, মোমিনুলসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হলো। বাবুনগরী গ্রেফতারও হন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি জামিনও পেয়ে যান। থমকে দাঁড়ায় মামলাগুলোর তদন্ত। হেফাজত তার স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসে। সরকারও অজানা কারণে গোপন সমঝোতা করে। ধীরে ধীরে আটক সকল হেফাজত কর্মীর মুক্তি প্রত্যক্ষ করা গেল। স্বস্তি পেল হেফাজতে ইসলাম। আবদার বেড়ে যেতে থাকল তাদের। তারা চাইল পাঠ্যপুস্তকের সাম্প্রদায়িকীকরণ। সরকার বলল তথাস্তু। অসাম্প্রদায়িক খ্যাতিসম্পন্ন লেখকদের রচনা সমৃদ্ধ কোটি কোটি টাকার পাঠ্যপুস্তক বাতিল হলো। জনগণের টাকার অপচয় হলো। নতুন করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সাম্প্রদায়িক লেখকদের লেখা নিয়ে পাঠ্যপুস্তক ছেপে তার কোটি কোটি কপি সারাদেশে যথারীতি বিলি করা হলো। ঘটল শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণ। শুরু হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে কোটি কোটি শিশুর মগজধোলাই। বাড়তে লাগল সমাজে সাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা। পিছু হটানো শুরু হলো বাঙালীর চিরায়ত সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদয়িক চেতনা। প্রসার ঘটতে থাকল সংবিধান বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িকতা। বাড়তে থাকলো মাদ্রাসার সংখ্যা। পশ্চাৎগতি শুরু হলো বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষাব্যবস্থার উধাও ঘটল এককেন্দ্রিক শিক্ষা প্রসারের ঘোষিত সরকারী নীতির। বেজায় উৎফুল্ল হেফাজত। তারা দাবি করল সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে জাস্টিসিয়া নামক ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার। অযৌক্তিক এই দাবিটিও তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নেয়া হলো। অপসারিত হলো ভাস্কর্যটি। আর থামে কে? এবারে দাবি মাদ্রাসাগুলোর, বিশেষত কওমি মাদ্রাসাগুলোর উচ্চতম ডিগ্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতম ডিগ্রীর সমতুল্য বলে ঘোষণা দিতে হবে। আল্লামা শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তা-ও মেনে নেয়া হলো বলে তাৎক্ষণিক ঘোষণা দিলেন। উচ্চশিক্ষার অবৈজ্ঞানিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হলো। অতঃপর হেফাজত দিদ্বিদিক জ্ঞানশূন্যের মতো ঘোষণা দিল, সরকার যদি মুজিব শতবর্ষ পালনে বঙ্গবন্ধু বিশালাকার ভাস্কর্য নির্মাণ প্রকল্প পরিত্যাগ না করে এবং যদি প্রকৃতই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করে তবে তা ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হবে। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকিটি প্রকাশ্যে দিলেন হেফাজতে ইসলামের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মাওলানা মোমিনুল হক। নানা মহল থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ উঠল, কিন্তু সরকারী উচ্চমহল থাকলেন নিশ্চুপ। অতঃপর কুষ্টিয়ায় নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্র্য ভেঙ্গে ফেলল কতিপয় মাদ্রাসা ছাত্র। ধরা পড়ার পর পুলিশকে তারা জানাল মাওলানা মামুনুল হকের ওয়াজ শুনে তারা ভেবেছিল ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী। তার ওই বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা ভেঙ্গেছে ভাস্কর্যটি । কয়েক মাস চলে গেল। মামুনুলরা দিব্যি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে থাকল। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ওয়াজ করতে গিয়ে মোমিনুল মুসলমানদের সাম্প্রদায়িকতায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন। প্রশাসন নিশ্চুপ থাকল। একটি হিন্দু ছেলে ক্ষোভ বশত মাওলানা মামুনুলের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরিস্থিতি উগ্র হতে দেখে গ্রামবাসী ছেলেটিকে পুলিশে হস্তান্তর করে। তবু মাইকে প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়ে হাজার হাজার লোক জড়ো করে শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁগ্রামের একশত নিরীহ নির্দোষ হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর ভাংচুর করা, তাদের স্বর্ণ-টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে সব পরিবারকে চরম অসহায়ত্বের মুখে দাঁড় করায়। বিষয়গুলো আগে থেকেই প্রশাসনের জানা ছিল। তদুপরি আক্রমণ শুরু হওয়া মাত্র হিন্দুরা ফোন করে থানাকে জানালেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে অজানা কারণে চুপ থাকে। ঘটনাটি ঘটে গেল প্রকাশ্য দিবালোকে। মামুনুল উস্কানি দিলেন, থাকলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু ওই হিন্দু ছেলেটি কারারুদ্ধ থাকল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এমনতর একের পর এক ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইন প্রয়োগ না করায় হেফাজতীরা তাদের আস্ফালন তুঙ্গে তুলল। হুঙ্কার দিয়ে দাবি তুলল, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেয়া আমন্ত্রণ বাতিল করা হোক। নইলে তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। সরকার কঠোর ও নিñিদ্র নিরাপত্তায় সংবর্ধিত করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি ঢাকায় আসেন দুদিনের জন্য। একদিন যোগ দেন সরকার আয়োজিত অনুষ্ঠানে। পরদিন যান বাংলাদেশের দুটো গ্রামে- মন্দিরে পূজা দেন এবং একটি সম্প্রদায়ের সমাবেশে ভাষণ দিয়ে কৌশলে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সেখানে বসবাসরত ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে তার দল বিজেপির সপক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে রথ দেখা-কলা বেচা দুটোই সারলেন। কিন্তু মোদির ঢাকায় অবস্থানকালেই ২৬ মার্চ হেফাজত ভয়াবহ তা-ব চালাল। ওই তা-বে পুলিশী বাড়াবাড়ির ফলে হেফাজতী বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ মারা গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে ভয়াবহ তা-ব চালায় হেফাজতের অসংখ্য নেতা-কর্মী বাবুনগরী মামুনুলদের উস্কানিতে। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ঢাকা-হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন, তার তাবত বাদ্যযন্ত্র, ঘর-বাড়ি, অপরাপর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অফিস, থানা, সরকারী নানা অফিস এবং রেলস্টেশনেও অগ্নি সংযোগ করা হয়। এরপর কিছু মামলা মামুনুলসহ হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হতে শুরু করে ঢাকাসহ দেশের নানা অঞ্চলে। এর মধ্যে তিনি স্বরূপ উদ্ঘাটন করলেন নিজেই। মামুনুল অপরের যুবতী স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের দাসি সোনারগাঁ রিসোর্টে ঢুকলে এলাকাবাসী তা জানতে পেরে রিসোর্টের ৫০২নং কক্ষ, যেখানে পরস্ত্রী নিয়ে অবস্থান করছিলেন মামুনুল, ঘেরাও করে। ঘটনাটি অকস্মাৎ ভিডিওতে ভাইরাল হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে জনতার হাত থেকে মামুনুলকে উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার হেফাজতী গু-া বাহিনী এসে ওই রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মামুনুলকে ছিনতাই করে নিয়ে যায়। মামুনুল এবার অবৈধ নারী সম্ভোগকারী হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করে। তার বৈধ প্রথম স্ত্রী ছাড়াও আরও দুটি মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর পর সাম্প্রতিক জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এই মামুনুল ও হেফাজতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন প্রথমবারের মতো। এর পরিণতিতে মামুনুলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে ২৩টি মোকদ্দমার সবগুলোই তদন্ত করা হবে। এর পর মুখ রক্ষা করতে বাবুনগরী এক বিবৃতি দিয়ে হেফাজতের সকল কর্মীকে হত্যা, ভাংচুর ও তা-ব ঘটানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আটককৃত হেফাজতের সকল আলেম ও কর্মীকে মুক্তি দানের আহ্বান জানান। এবারে আর তর সইল না। তাড়াহুড়ো করে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে আটককৃত সকল আলেম-ওলেমার অর্থাৎ হেফাজত নেতাদের মুক্তি দাবি করেন। ভবিষ্যতে কি ঘটবে জানি না। কিন্তু যা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, মামুনুলকে গ্রেফতার করা হলেও এ যাবত একমাত্র বাগেরহাটের একটি উপজেলা ছাড়া অন্য কোথাও হেফাজত প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ ঘটানোর সাহস পায়নি। তবু হেফাজতের শক্তিকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তীক্ষè নজর রেখে সকল অপরাধীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে হেফাজতের সর্বোচ্চ নেতা এবং মামলার আসামি বাবুনগরীকেও গ্রেফতার করা এখন অত্যন্ত জরুরী। সমগ্র দেশবাসী এ কাজে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কেন না তারা নানা মাহফিলে, নানা মসজিদে ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নিতে পারে। সেগুলোর প্রতি কড়া পুলিশী নজর রাখা প্রয়োজন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের বর্ণিত আকাক্সক্ষা। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম অর্জন। আর এই অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় দৃঢ় থাকার কারণে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে প্রাণ দিতে হয়েছে, চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। তবে শঙ্কা-অনিশ্চয়তাও আছে সরকারের দৃঢ়তা নিয়ে মোমিনুল গ্রেফতারের পর দুদিন যেতে না যেতেই দেখা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হেফাজত নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন। মন্ত্রী বলেন, কোন বৈঠক হয়নি। হেফাজত নেতারা দেখা করতে এসেছিলেন। কেন? মুখ দেখতে? তাই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক [email protected]
×