ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিআইডবিøউটিএর জন্য ১০টি টাগ বোটের কিল লেয়িং

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৩ জুন ২০২১

বিআইডবিøউটিএর জন্য ১০টি টাগ বোটের কিল লেয়িং

বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে বিআইডবিøউটিএর জন্য ১০টি ১২ টন বোলার্ড পুল টাগ বোটের কিল লেয়িং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে আয়োজিত কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উর্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন। নির্মাণাধীন এ সকল টাগ বোটের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার, প্রস্থ ৮.৫ মিটার এবং প্রতি ঘণ্টায় ১১ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। টাগ বোটসমূহ নির্মাণের লক্ষ্যে গত ২৩ মে বিআইডবিøউটিএ ও নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টাগ বোট নির্মাণ আমাদের দেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এর ফলে একদিকে যেমন দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভ‚মিকা রাখবে। এছাড়া বিআইডবিøউটিএ’র আরও সাতটি টাগ বোট নির্মাণের চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নদী রক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় নদী ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিআইডবিøউটিএ তাদের নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে অবিরতভাবে নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ড্রেজার নন-প্রপেলার হওয়ায় একে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের জন্য টাগ বোটের প্রয়োজন হয়। নির্মিতব্য এই টাগ বোটসমূহ যে কোন আকারের ড্রেজার খুব সহজেই এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় নিতে সক্ষম হবে। এই টাগ বোটসমূহ আগামী দুই বছরের মধ্যে বিআইডবিøউটিএ’র কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা যায়। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ঐতিহ্যবাহী এই শিপইয়ার্ড দেশের প্রথম সামরিক জাহাজ বিএনএস পাবনা নির্মাণ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য আরও চারটি জাহাজ নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন কারণে প্রতিষ্ঠানটি লাভের মুখ দেখতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের পর থেকে ধীরে ধীরে এটি একটি লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত লাভ করছে এবং দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারী সংস্থার নিকট সফলতার সঙ্গে বোট/জাহাজ সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে। এ ধরনের বোট তৈরির ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে বাংলাদেশকে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হতো। এখন থেকে দেশেই এ ধরনের উন্নতমানের বোট তৈরি সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। বোটসমূহ নির্মাণের মাধ্যমে নারায়াণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। -আইএসপিআর
×