ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক মোসাদ প্রধানের ভাষ্যে ইরানে ইসরাইলী মিশন

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ১৩ জুন ২০২১

সাবেক মোসাদ প্রধানের ভাষ্যে ইরানে ইসরাইলী মিশন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ইরানে ইসরাইলী এজেন্টদের সুদীর্ঘ তৎপরতার চাঞ্চল্যকর বর্ণনা তুলে ধরেছেন ইসরাইলের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেন। ইরানের পরমাণু আর্কাইভ থেকে নথিপত্র চুরি থেকে শুরু করে ইরানী বিজ্ঞানী হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলী সংশ্লিষ্টতার রোমহর্ষক তথ্য দিয়েছেন সদ্য মোসাদ প্রধানের পদ থেকে বিদায় নেয়া এ কর্মকর্তা। -খবর বিবিসি অনলাইনের ২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার নথিপত্র চুরি করে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তার পেছনেও হাত ছিল ইসরাইলী গোয়েন্দাদের। এসব বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন কোন ইসরাইলী কর্মকর্তা। ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর সাংবাদিক ইলানা ডায়ানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন গত সপ্তাহে মোসাদ প্রধানের পদ থেকে অবসরে যাওয়া কোহেন। অনুষ্ঠানটি গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রচারিত হয়েছে। বিবিসির খবর অনুসারে, ২০১৫ সালে মোসাদের প্রধান হিসেবে ইয়োসি কোহেনকে নিয়োগ দেন ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। লন্ডনে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮২ সালে তিনি এই গোয়েন্দা সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। সাক্ষাতকারে কোহেন জানিয়েছেন, এই পেশায় থাকার সময় তিনি কয়েকশ’ পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। সাক্ষাতকারের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অংশ ছিল ইরানের পরমাণু আর্কাইভ থেকে নথি চুরির বর্ণনা। ২০১৮ সালে একটি সংবাদ সম্মেলনে চুরি যাওয়া এসব নথির কথা উল্লেখ করে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করেছে এবং অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি তাদের রয়েছে।
×