ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ১৩ জুন ২০২১

কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি দিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের শ্রমিকরা দেশে কোয়ারেন্টাইন শেষে সৌদি আরবে গেলে সেদেশে কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি প্রদানের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শুক্রবার ড. মোমেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে ফোনে আলাপকালে এ অনুরোধ করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী শ্রমিকদের খরচ সাশ্রয় হবে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পর সাতদিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। করোনা মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশী শ্রমিকের সৌদি গমনে অনুমতি প্রদানের জন্য সে দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এসময় ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ জানান, এবছর করোনা মহামারীর কারণে অন্য দেশ থেকে কোনও ব্যক্তি সৌদি আরবে গিয়ে হজ পালন করার সুযোগ পাবেন না। তবে সৌদিতে অবস্থানরত সৌদি নাগরিকের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকরাও হজ্জ পালনের সুযোগ পাবেন। ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সেদেশে নিরাপদ মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে। এ বিষয়ে তিনি সৌদি আরবের সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান। ইতালির আটকেপড়া প্রবাসীদের ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা ॥ এদিকে ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসে আটকেপড়া প্রবাসীদের সেদেশে ফেরাতে জোরালো ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আটকেপড়া প্রবাসীদের ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থার জন্য ইতালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। বাংলাদেশীদের ইতালিতে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা কাজে যোগদান করতে পারছেন না। ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস এজন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ক‚টনৈতিকপত্র দিয়েছে। এ নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ জুন ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রাখছি। শামীম আহসান বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ঢাকায় ইতালির দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছি। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা হাইলাইট করেছি যে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। বাংলাদেশ যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে তার কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের আমি আশ্বস্ত করেছি, চিন্তিত হওয়ার যৌক্তিক কোন কারণ নেই। প্রবাসীরা আটকে পড়ায় শুধু তাদের স্বার্থ নয়, ইতালিয়ান নিয়োগকর্তাদের স্বার্থ জড়িত। ইতালিতে যেসব রেস্তরাঁ রয়েছে বা আতিথেয়তার যে ক্ষেত্রগুলো রয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুপস্থিতেতে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারাও এ লক্ষ্যে রয়েছেন, কখন তাদের বাংলাদেশী কর্মীরা বা অন্য দেশের কর্মীরা আসবেন। বাংলাদেশসহ আরও দুটি দেশের জন্য আগামী ২১ জুন পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মূলত করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইতালি।
×