ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপে সংঘর্ষ, ভাংচুর ॥ পুলিশসহ আহত ১৫

প্রকাশিত: ২৩:০১, ১৩ জুন ২০২১

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপে সংঘর্ষ, ভাংচুর ॥ পুলিশসহ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১২ জুন ॥ মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ, এক সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এ সময় দুটি ব্যাংক, কয়েকটি মোটরসাইকেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক শ’ যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে আধা ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপি, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মৌলভী আছমত আলী খান সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লার কট‚ক্তিমূলক বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর ও রাজৈরে কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লার পদত্যাগের দাবিতে শাজাহান খান এমপি গ্রæপের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধনের আয়োজন করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা গ্রæপের নেতা-কর্মীরা একই স্থানে সভা ও মানববন্ধন করতে গেলে দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় দুই গ্রæপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে তিন পুলিশ ও এক সাংবাদিকসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কৃষি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের ঘটকচর শাখার জানালার কাঁচ, ে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকানপাট ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান বলেন, ‘মরহুম আচমত আলী খান জেলার সকলের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক এমপি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তাকে স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই পদক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা কট‚ক্তি করে বক্তব্য দিয়েছেন। শাহাবুদ্দিন মোল্লা তার বক্তব্যের মাধ্যমে শুধু আছমত আলী খানকে নয়, বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন। এখনও সময় আছে শাহাবুদ্দিন মোল্লা যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চায় তা হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’
×