ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মিহির কুমার রায়

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কতটা সহায়ক বাজেট

প্রকাশিত: ২১:০০, ১৩ জুন ২০২১

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কতটা সহায়ক বাজেট

মহান জাতীয় সংসদে ৩ জুন অর্থমন্ত্রী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেন, যার পরিমাণ ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭.৪৭ শতাংশ। চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। করোনার বছরেও ৭.২ শতাংশ উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা এবং মূল্যস্ফীতির হার ৫.৩ শতাংশে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বাজেটে। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দেখানো হয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির হিসাবে ৬.১ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির ৫.৯ শতাংশ ঘাটতি, যা প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতির আকার বাড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার অঙ্কে প্রতি বছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু করোনার এই বিশেষ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের আয় কমে গেছে। সেইসঙ্গে কমেছে মানুষের ভোগব্যয়। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা (জিডিপির ১১.৩৫%)। চলতি অর্থবছরে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) রয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। সার্বিক বাজেটের আলোকে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলাসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি বছরের বাজেটে বরাদ্দের চেয়ে ৩ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১.৩ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ৬.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি পেলেও বাজেটের শতাংশে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৭ শতাংশ আর জিডিপির ১.০ শতাংশ। অথচ করোনা অতিমারী মোকাবেলা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদদের তরফ থেকে দাবি উঠেছিল এবারের বাজেটে যেন জিডিপির কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ শতাংশ অথবা বাজেটের ৭ থেকে ৮ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ও মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ করতে হবে। বাস্তবে তা হয়নি। যার মূল কারণ বর্তমান বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বরাদ্দকৃত বাজেটের মধ্যে মাত্র ২১ শতাংশ ব্যয় করতে পেরেছে। চলতি অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ১০০ কোটি টাকা স্বাস্থ্য গবেষণায় বরাদ্দ ছিল। তা থেকে খরচ হয়নি বরাদ্দের এক টাকাও। তবে উদ্ভূত যে কোন জরুরী চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ গতবারের মতো এবারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অঙ্ক মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করলেও বাজেটে স্বাস্থ্য ব্যয়ের শেয়ার শতকরা হিসাবে ৭ ভাগে দাঁড়ায়। তারপরও যা জিডিপির অনুপাতে শতকরা ২ ভাগের নিচে। গতানুগতিকভাবেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে রাষ্ট্রীয় ব্যয় কম, যা গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ গড়ে জিডিপির শতকরা মাত্র ২ ভাগ বা তারও কম। আর বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যয় করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। উন্নত দেশগুলোতে এই হার শতকরা ১০ থেকে প্রায় ২০ ভাগ। মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয়ের ক্ষেত্রেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার গড় মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় বাংলাদেশ থেকে ৪ গুণের বেশি। বিশ্বব্যাংক থেকে করোনার টিকা কিনতে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য ১৪ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে, যা ইতোমধ্যে ব্যবহার হচ্ছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু অগ্রাধিকারের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচী অন্যতম। সরকার দেশের সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করবে। এজন্য যত টাকাই লাগুক সরকার তা ব্যয় করবে। সে লক্ষ্যে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দের বাইরে টিকা কিনতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে দেড় বিলিয়ন ডলারের ভ্যাকসিন সাপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। টিকা সংগ্রহে চলতি অর্থবছরে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক ৩ হাজার কোটি টাকা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষায় বিশ্বে বিনামূল্যে টিকা প্রদানকারী দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক থেকে কোভিড ভ্যাকসিন কিনতে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য ১৪ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যবহার হচ্ছে। টিকা কিনতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়ার লক্ষ্যে ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং এআইআইবি হতে ভ্যাকসিন কেনার জন্য সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। মোট ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য ভাগ ভাগ করে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণকে টিকা দেয়া হবে এবং প্রতিমাসে ২৫ লাখ করে টিকা দেয়া হবে। বর্তমান বছর ৭ ফেব্রæয়ারি থেকে দেশে জাতীয়ভাবে টিকা দেয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ২ লাখ ডোজ, চীনের সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ এবং কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড প্রয়োগের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। তবে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে দেশটির সরকারের রফতানি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানের পর আর টিকা পাঠাতে পারেনি। এতে দেশে টিকাদান কর্মসূচী বড় ধরনের হোঁচট খেলে নতুন উৎস থেকে টিকা কিনতে তৎপর হয় সরকার। এর অংশ হিসেবে চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি-এর টিকা পেতে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হয়। ইতোমধ্যে সিনোফার্মের কাছ থেকে টিকা কেনার প্রস্তাবও সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। উপহার হিসেবে চীনের কাছ থেকে পাওয়া এই টিকা দেশে প্রয়োগও শুরু হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুটনিক-ভি কেনার জন্য সরকারী পর্যায়ে আলোচনা চলছে। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাচ্ছে কোভ্যাক্স থেকে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈব প্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এ নিয়ে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের মোট চারটি টিকা অনুমোদন পেল। এর আগে কোভিশিল্ড, স্পুটনিক-ভি ও সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন চলতি অর্থবছরে শুরু হয়েছে এবং আগামী অর্থবছরেও তার বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। সরকারীভাবে ঢাকায় ৭২টি ও ঢাকার বাইরে ৪৯টিসহ মোট ১২১টি পরীক্ষাগারে কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত আরটিপিসিআর ভিত্তিতে ৫৮ দশমিক ১৯ লাখসহ মোট ৫৯ দশমিক ৪৮ লাখ মানুষের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (৪২৩টি) এর প্রতিটিতে ৫টি করে আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। যেসব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ নেই সেখানে জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে ১০-২০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীরাও যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে। দায়িত্ব পালনকালীন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানী বাবদ চলতি বছরে বরাদ্দকৃত ৮৫০ কোটি টাকা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঢাকায় দুটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালু রয়েছে। সারাদেশে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মোট ৬২৯টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১০টি কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় গাইডলাইন, ২৮টি অন্যান্য নির্দেশিকা, ৪টি এসওপি এবং ১৩টি গণসচেতনতামূলক উপকরণ তৈরি করা হয়েছে। রিয়েল টাইম হসপিটাল ড্যাশবোর্ড স্থাপনের ফলে দেশের কোভিড হাসপাতালসমূহের সাধারণ ও আইসিইউ শয্যার সব তথ্য যে কোন সময় পাওয়া যাচ্ছে। বর্ণিত অবস্থা থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের আয়োজনের কোন কমতি নেই। কিন্তু উদ্যোগের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, যা গোছানো জরুরী বিধায় ১. করোনাকালীন জীবন ও জীবিকার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হলেও কার্যত নতুন বাজেটটি গতানুগতিক বাজেট। করোনার মধ্যে চলতি বছরের ১১ মাসে বাজেট বাস্তবায়নে অর্ধেক হওয়ার বিষয়টি আমলে না নিয়েই তৈরি করা হয়েছে আগামী বছরের বাজেট প্রস্তাব। এখন বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে এর জন্য প্রশিক্ষণ ও তদারকির কোন বিকল্প নেই; ২. করোনা পরিস্থিতিজনিত অর্থনৈতিক মন্দা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ও গণটিকাদানের বিকল্প নেই। এর সঙ্গে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আসার বিষয়টি জড়িত। জনসংখ্যার বিরাট অংশ কাজ ও আয় হারিয়ে বাজারে জিনিসপত্র কিনতে পারছে না । ফলে উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের কর্মী ছাঁটাই করতে হচ্ছে। কাজেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী নতুন বাজেটের প্রধান লক্ষ্যই হওয়া উচিত দ্রæততম সময়ে জনগণের কমপক্ষে ৭০ ভাগের টিকাদানের কৌশল নির্ধারণ করা; ৩. বাজেটে বলা হয়েছে, সরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। এক্ষেত্রে উপজেলা পর্যায়ের সরকারী হাসপাতালগুলোতেও যতটা সম্ভব আধুনিক স্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে বড় বড় শহরের হাসপাতালগুলোর ওপর চাপ কম পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও সব জেলা হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি গত এক বছরে। কারণ, এর জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ জনবলের অপর্যাপ্ততা। স্বল্পমেয়াদে এটি করা সম্ভব না হলেও মধ্যম মেয়াদে কাজটি অবশ্যই করতে হবে। আসলে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাস্তবায়নই মূল চ্যালেঞ্জ, যা করোনাকালে স্পষ্ট হয়েছে; ৪. চলতি অর্থবছরে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য খাতের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশেরও কম। এটি কেন কম, অর্থ ছাড়ে বিলম্ব হলে কেন হচ্ছে- মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, সর্বোপরি অপচয়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিরূপণ ও সমাধানের পন্থা বের করা দরকার। ব্যয়ের সক্ষমতা নেই বলে বরাদ্দ কম না রেখে সক্ষমতা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই উপায় বের করতে হবে। এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করে বিধায় স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দে নগর-গ্রামের অনুপাতও ন্যায্য হওয়া দরকার। সর্বোপরি অর্থের বরাদ্দ বাড়িয়ে এবং বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারলে করোনা মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব হতে পারে। লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সিন্ডিকেট সদস্য ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি
×