ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় দুই সপ্তাহ লকডাউন বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১২ জুন ২০২১

মালয়েশিয়ায় দুই সপ্তাহ লকডাউন বৃদ্ধি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনার উর্ধমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে জারি লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটির সরকার শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১ জুন থেকে মালয়েশিয়ায় দুই সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়। প্রথম দফা ওই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ জুন শেষ হওয়ার কথা। তার আগেই আরও দুই সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলো। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৭ কোটি ৫৮ লাখ ২৯ হাজার ৮২৭ জন। মারা গেছে ৩৭ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩১ জন। সুস্থ হয়েছে ১৫ কোটি ৯৪ লাখ ৪৩০ জন। খবর আলজাজিরা ও অন্যান্য ওয়েবসাইটের। ১৫ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকবে মালয়েশিয়া। পূর্বের মতো এই সময়েও দেশটির সমস্ত সামাজিক-অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। শুধু জরুরী সেবা ও অর্থনৈতিক খাতের কার্যক্রম চলবে। শুক্রবার দেশটির সুরক্ষা বিষয়কমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব বলেছেন, দৈনিক করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সরকারীভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশটিতে এখনও দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দীন ইয়াসিনের সভাপতিত্বে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শের ভিত্তিতে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় আরও ৮৪ জনের প্রাণহানির পর দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৬৮। এছাড়া গতদিন আরও ৬ হাজার ৮৪৯ জন আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হওয়ার পর মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪১১ জন। দেশটিতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনার বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই। বিশেষ করে করোনার অতি সংক্রামক ধরনের কারণে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই তরুণ ও যুবক। এছাড়া হাসপাতালগুলোতেও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহের এই লকডাউনে যদি করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা যায় তাহলে লকডাউন শেষে কিছু খাত পরের চার সপ্তাহের জন্য সচল করে দেবে। এই চার সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর আগের মতো সব অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলবে। ভারতীয়দের ভিসা দিচ্ছে না চীন ॥ চীনা টিকা না নিলে ভিসা দেয়া হবে না, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই এই নিয়ম কার্যকর করেছে চীন। তার আগে গত বছরের নবেম্বর মাসে ভারতসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বেজিং। যার জেরে বহু ভারতীয় শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কর্মসূত্রে চীনে থাকেন এমন ব্যক্তিরা পড়েছেন বিপাকে। এই পরিস্থিতিতে দেশটির কাছে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আবেদন জানিয়েছে নয়াদিল্লী। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘বর্তমানে চীন থেকে সে দেশের নাগরিকসহ যে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন। কিন্তু গত নবেম্বর থেকে ভারতীয়রা চীনে প্রবেশ করতে পারছেন না, কারণ সবার পুরনো ভিসা বাতিল করে দিয়েছে চীনা সরকার।’ তবে বেজিংয়ের নিয়ম মেনে চীনা টিকা নিলেও ভারতীয়দের ভিসা দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে। চীনা নাগরিকরা যেহেতু বিনা বাধায় ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন, তাই ভারতীয়দেরও চীনে ঢুকতে দেয়া উচিত। উল্লেখ্য, গত বছরের নবেম্বরে চীনে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বেজিং। সে সময় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে ১৯ ভারতীয় যাত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সে সময় বেজিং জানায়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে প্রায় ৮ মাসেও সেই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়নি। টিকা নিলে মাস্ক পরতে হবে না ॥ যারা করোনার টিকা নিয়েছেন তাদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘যারা করোনার টিকা নিয়েছেন ও আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই।’ ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ নিয়ম চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বলসোনারো আরও বলেন, ‘যারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন শুধু তাদের জন্যই কোয়ারেন্টাইন প্রয়োজন। করোনার সংক্রমণ রোধে বলসোনারো বরাবরই লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিরোধী। সংক্রমিত দেশের তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান তৃতীয়। মৃত্যুর হিসাবে দুই নম্বরে রয়েছে দেশটি। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৭২ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। মারা গেছেন চার লাখ ৮২ হাজার ১৩৫ জন।
×